ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে প্রেসক্লাবে কৃষক

প্রকাশিত: ১৮:২০, ২৩ জুন ২০২৪

জীবিত রাসেলস ভাইপার নিয়ে প্রেসক্লাবে কৃষক

রাসেলস ভাইপার ধরে আনা কৃষক

দেশে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক বাজে ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন সময় রাসেলস ভাইপার সাপটি মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে এমন ঘোষণা ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ। 

এমন ঘোষণার পর ২২ জুন (শনিবার) প্রেসক্লাবে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে হাজির হয় একজন কৃষক। সবচেয়ে বড় বিষয় হল জীবিত সাপ নিয়ে প্রেসক্লাবে যান তিনি। 

জানা যায় এই কৃষিকের নাম রেজাউল খান (৩২)। শনিবার  (২২ জুন) সন্ধ্যায় তিনি ১৮ ইঞ্চি লম্বা একটি রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে হাজির হন ফরিদপুর প্রেসক্লাবে। কারন এর আগে রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয় ফরিদপুরে। 

রেজাউল খান ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের সাইন বোর্ড এলাকার মনোরুদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক।

রেজাউল খান থেকে জানা যায়, শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পদ্মাপাড়ের সাইন বোর্ড এলাকার ফসলি মাঠে রাসেলস ভাইপার সাপটি দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সাপটিকে একটি পাতিলে ভরে ফেলেন তিনি। এরপর তিনি প্লাস্টিকের নেটের আবরণ দিয়ে ওই পাতিলের মুখ বন্ধ করে প্রেসক্লাবে নিয়ে যান।

রেজাউল খান বলেন , তিনি সাপটি ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের জন্যেই ধরেছিলেন। তবে বন বিভাগের প্রাপ্তিস্বীকারপত্র না থাকায় জেলা আওয়ামী লীগ তাকে পুরস্কারের টাকা দেয়নি। কিন্তু তার সাপটি জমা নিয়েছে বন বিভাগ।

এই ঘটনার পর ২৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ আওয়াল হোসেন বলেন, রাসেলস ভাইপার একটি বিষধর সাপ। টাকার লোভসহ নানান কারণেই মানুষ এটা ধরে আনতে পারে। 
তিনি আরও বলেন, এসব ব্যাপারকে উৎসাহ দিলে অঘটনও ঘটতে বেশি সময় লাগবে না। তাই ওই ব্যক্তিকে সাপটি বন বিভাগ বা লোকালয়ের বাইরে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস ভূঁইয়া বলেন, আমরা আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার করে দিয়েছি। এসব সাপ ধরা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। টাকার লোভে অনেকেই এসব করে থাকতে পারেন। তবে এসব কাজে তাদের উৎসাহ দেওয়ার কিছু নেই। 

তিনি বলেন, এ ছাড়া সরীসৃপজাতীয় প্রাণী ধরার কোনো বিধান নেই। ধরাটাই অপরাধ। কারও জালে আটকে গেলে সেটা অন্য কথা। এর জন্য আমরা কোনো প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দিতে পারি না । 

পুরস্কারের বিষয়ে জানতে শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফে মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া হলে, তিনি ধরেননি। 

তবে জেলা আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, সাপ জমা দিলে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে তারা।

 

শিলা 

×