বলেশ্বর নদীর পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলেও থামানো যাচ্ছে না ভাঙন
মঠবাড়িয়ার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের বলেশ্বর নদে জিও ব্যাগ ফেলেও রক্ষা হচ্ছে না ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিতভাবে জিও ব্যাগ ফেলে নদীপাড় রক্ষায় কোনো কাজে আসছে না বলে এলাকাবাসীর দাবি।
জানা গেছে, ভাঙন রোধে স্টিমার ঘাটের ৩০০ মিটারে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙন রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড় রেমালের একটানা ১৮ ঘণ্টা আঘাতের পরে উপজেলার বড় মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জলোচ্ছ্বাস ও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শুরু এবং শেষের দিকে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বেড়িবাঁধগুলোয় ভাঙন দেখা দিয়েছে বেশি। এই এলাকায় ইতোপূর্বে কয়েকবার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থাই কাজে আসছে না। ভাঙনের ফলে মাছুয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে।
মাছুয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া এলাকার গৌতম পাল জানান, এই এলাকাটা অনেক বড় ছিল। কয়েকবছর নদীভাঙনে বেশকিছু অংশ বিলীন হয়ে গেছে। অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। একই গ্রামের অতুল চন্দ্র সাহা জানান, বেড়িবাঁধ থেকে অনেক দূর পর্যন্ত ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ছিল নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। কয়েক জায়গা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হতো।
বড় মাছুয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির হোসেন হাওলাদার জানান, প্রতিবছরই নদীর পাড় রক্ষার নামে জিও ব্যাগ ফেলা হয়, কিন্তু প্রকল্প অনুযায়ী সঠিকভাবে কাজ না হওয়ায় তা কোনো কাজেই আসছে না। তিনি স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ব্লক দিয়ে বেড়িবাঁধ রক্ষা চান।
পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যার আগে বেড়িবাঁধগুলো পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার মাছুয়া ইউনিয়নের স্টিমার ঘাট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরক্ষা করার চেষ্টা করছি। তিনি আরও জানান, বড় মাছুয়া স্টিমার ঘাট নদীর পাড় ভাঙন রক্ষার জন্য ৫০০ মিটার ব্লকের প্রায় ৪৭ কোটি টাকার প্রজেক্ট দেওয়া আছে, বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।