আটক সাইদুল করিম মিন্টুকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যার পেছনে শুধু সোনা চোরাচালানই নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও ছিল। আনার বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এবং অন্যরা সুযোগ না পাওয়ায় তাকে হঠানোর পাঁয়তারা করে দলের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তাতেও কাজ না হওয়ায় তাকে দুনিয়া থেকে একেবারে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।
তবে সেটি রাজনৈতিকভাবে নয়, আনারের অন্ধকার জগতের বিষয়গুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। হত্যার পেছনে রাজনৈতিক বিষয় ও রাজনৈতিক নেতাদের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও সেটি যাতে সামনে না আসে এবং স্বর্ণ চোরাচালানের বিষয়টি যাতে প্রকাশ পায়, সেভাবেই পরিকল্পনা ও লোক ঠিক করে আনারকে হত্যা করা হয়। হত্যার পেছনের কারণ হিসেবে এতদিন এসব নিয়েই আলোচনা চলছিল। তবে হঠাৎ করে হত্যাকা-ের সঙ্গে আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই নেতার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় ঘটনার মোড় ঘুরে যায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপি আনার পৃথিবীতে না থাকলে কী হবে? তার সোনাপাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব কে দেবে আর এমপির গদিতে কে বসবে? সেই হিসাবই বলে দিচ্ছে নেপথ্য কাহিনী। আর এই হিসাব কষে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়েছে আখতারুজ্জামান শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু। কেননা, আনার না থাকলে মনোনয়ন পাবে মিন্টু আর শাহীন হবে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের প্রধান।
আনার হত্যায় সরাসরি জড়িত গ্রেপ্তার তিন আসামিকে দুই দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং ভারত ও নেপালে গ্রেপ্তার আরও দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকা-ের পেছনে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর সংশ্লিষ্টতা পায় ডিবি। পরে তাকে ঝিনাইদহ থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় আনার অপহরণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। পরবর্তীতে তাকেও রাজধানী থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। এতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয় মিন্টু।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিনের রিমান্ডে নেয় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি। হত্যার পেছনে মিন্টুর কতটুকু সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তা নিশ্চিত হতে গ্যাস বাবুর সঙ্গে তাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করবে ডিবি।
হত্যাকা-ের মাসখানেকের মাথায় আনারকে হত্যার পর ধারণকৃত ছবি প্রকাশ পায়। সেই ছবি গ্রেপ্তার কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্যাস বাবুকে এই ছবি দেয় হত্যায় জড়িত গ্রেপ্তার আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। এমপি আনারকে হত্যার পর পরই শিমুল ভূঁইয়া দেশে এসে গ্যাস বাবুর কাছ থেকে হত্যার জন্য চুক্তি হওয়া টাকা চায়। তখন আনার হত্যার প্রমাণস্বরূপ ছবি চায় গ্যাস বাবু। অন্যদিকে মিন্টুর প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে গ্যাস বাবু।
হত্যাকা-ের মোটিভ স্থানীয় রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের দিকে মোড় নেওয়ার সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে এর নেপথ্য নায়কদের ভূমিকা। এর মধ্যে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আখতারুজ্জামান শাহীনের পর অর্থদাতা হিসেবে আলোচনায় আসা মিন্টুর সংশ্লিষ্টতাও দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সূত্র জানিয়েছে, মিন্টু যখন শাহীনের সঙ্গে হত্যার বিষয়ে আলোচনা করে, তখন থেকেই নিজেকে আড়ালে রাখার চেষ্টা করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ক্রমেই যাতে তার সংশ্লিষ্টতা বুঝতে না পারে, সেজন্য শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করাত রিমান্ডে থাকা তার ঘনিষ্ঠ গ্যাস বাবুর মাধ্যমে। শাহীন কিলিং মিশনের নেতৃত্ব দেওয়া আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়াকে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজে নামায়। কিলিং মিশন শেষ করে আসার পর ২৩ মে শিমুল ভূঁইয়াকে দুই কোটি টাকা দেওয়ার কথা ছিল মিন্টুর।
কিন্তু এর আগেই ভাতিজা তানভিরসহ গ্রেপ্তার হয়ে যায় শিমুল ভূঁইয়া। শাহীনও কয়েক ধাপে পাঁচ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল শিমুল ভূঁইয়াকে। কিন্তু গ্রেপ্তার হয়ে যাওয়ায় সেই টাকাও আর হাতে পায়নি কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া সদস্যরা।
পুলিশের তদন্তকারীদের তথ্যমতে, কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের অভিজাত একটি ফ্ল্যাটে গত ১৩ মে খুন করা হয় এমপি আনারকে। এর আগে এ হত্যাকান্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড শাহীন ওই ফ্ল্যাট থেকে ফোন করে মিন্টুকে। সেই ফোনালাপেই আনার হত্যাকা-ের চূড়ান্ত প্রস্তুতির কথা জানানো হয় তাকে। অন্যদিকে শাহীনের সঙ্গে গ্যাস বাবুর কথা হয় যে তিনটি মোবাইল ফোনে, সেই ফোনগুলো নিজ হেফাজতে নিয়ে নেয় মিন্টু। এর পর ফোনগুলো হারিয়ে গেছে মর্মে থানায় জিডিও করে গ্যাস বাবু।
সূত্র জানায়, কিলিং মিশন শেষে দেশে আসার পর শিমুলের সঙ্গে গ্যাস বাবুকে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছিল মিন্টু।
তবে মিন্টু হত্যাকা-ের ঘটনায় অর্থদাতা ও নির্দেশদাতা ছিল কি না তা তদন্তে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তদন্তে সুস্পষ্ট অভিযোগ না পেলে কাউকে ডাকা হয় না।
কিলার শিমুল ভূঁইয়া ও গ্যাস বাবুর জবানবন্দিতে কিছু তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। এ কারণে মিন্টুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তাকে ব্যাপক আকারে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। সেই কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করি। পরে মিন্টুর আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মিন্টুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে, তিনি হত্যাকা-ের ঘটনা কতটুকু জানেন। গ্যাস বাবুর মোবাইল ফোন কেন নেওয়া হলো সেটিও জিজ্ঞেস করা হবে। কিলার শিমুল ভূঁইয়া ঢাকায় আসার পর কেন মিন্টুর প্রতিনিধি গ্যাস বাবু তার সঙ্গে দেখা করলেন, জানতে চাওয়া হবে মিন্টুর কাছে।
টাকা-পয়সার লেনদেন সঠিক কি না? গ্যাস বাবুর মোবাইল ফোন নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন কি না? এ ছাড়া শাহীনের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না? সবকিছু মিন্টুর কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানান হারুন।
তিনি বলেন, গ্যাস বাবু রিমান্ডে রয়েছেন। গ্যাস বাবু স্বীকার করেছেন, আনার হত্যাকা-ের মূল ঘাতকের সঙ্গে মিটিং এবং একাধিকবার দেখা করেছেন তিনি। শাহীনের পক্ষে কাজ করেছে শিমুল ভূঁইয়া, অন্যদিকে মিন্টুর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছে গ্যাস বাবু।
গ্যাস বাবুর মোবাইল ফোন হারানোর কথা বলা হচ্ছে। মোবাইল ফোনগুলো মিন্টু নিয়েছেন কি না? জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি প্রথমে জানিয়েছিলেন, মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়ায় তিনি জিডি করেছেন।
এর পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, মিন্টুর বুদ্ধিতে মোবাইল ফোন মিন্টুর কাছে দিয়ে তিনি থানায় হারানোর জিডি করেন। গ্যাস বাবু ও মিন্টুকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানাব। প্রয়োজনবোধে আবারও শিমুল ভূঁইয়াকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আটদিনের রিমান্ডে মিন্টু ॥ মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। এর পর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
শুনানির সময় বিচারক আসামি মিন্টুর কিছু বলার আছে কি না, জিজ্ঞাসা করলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বলেন, আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
৪৬ বছরের রাজনীতিতে আমার খুন-খারাবির ইতিহাস নেই। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছি। এখন সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন চাওয়ায় আমার অপরাধ হয়েছে। আমি ওয়ান ইলেভেনে গ্রেপ্তার হয়েছি। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। মানুষের জন্য রাজনীতি করেছি। কিন্তু আমাকে রাজনৈতিক কারণে ফাঁসানো হচ্ছে।
এর আগে বেলা তিনটার দিকে ডিবি পুলিশের গাড়িতে করে আদালতের সামনে আনা হয় মিন্টুকে। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরানো অবস্থায় তাকে এজলাসে তোলা হয়। এজলাসের সামনে নিয়ে এলে স্বজনরা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মিন্টুকেও কাঁদতে দেখা যায়। বেলা তিনটা ছয় মিনিটের দিকে শুনানি শুরু হয়। প্রথমে আদালত তদন্ত কর্মকর্তার বক্তব্য শোনেন।
এর পর রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। তিনি বলেন, মামলার তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসছে। ডিবি পুলিশ ঘটনার সঙ্গে এ আসামির সম্পৃক্ততা পেয়েছে। পরিকল্পনাকারী কে কে আছে, বের হওয়া দরকার। স্টেটমেন্টে অনেকের নাম আসছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে। তার রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, মিন্টুকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমপি আনার অপহরণ ও হত্যাকা- পরিকল্পনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে মিন্টু সত্য-মিথ্যার সংমিশ্রণে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আসামি মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে একেক সময় একেক রকম তথ্য দিয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, শিমুল ভুঁইয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা বর্ণিত আছে। সেই জবানবন্দিতে ভিকটিমকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ তথা হত্যায় সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্তে মিন্টুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এই সংক্রান্তে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে থাকা আসামি কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু এমপি আনার অপহরণ সংক্রান্তে মিন্টুর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে।
ঘাতক শিমুল ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উল্লেখ করে, গত ৫/৬ মে এমপি আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী শাহীন আসামি মিন্টুর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেন এবং এমপি আনার হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সাপেক্ষে আর্থিক লেনদেনের কথা বলেন। পুলিশ রিমান্ডে গ্যাস বাবু আরও জানায়, হত্যাকা-ের পর ঘাতক দলের প্রধান শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে সে প্রতিশ্রুত টাকা লেনদেনের বিষয়ে ডিজিটালি এবং ফিজিক্যালি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং অপহরণ ও হত্যাকা-ের প্রমাণস্বরূপ ছবি আদান প্রদান করেছেন।
মিন্টুর মুক্তি দাবি ॥ এদিকে গ্রেপ্তার মিন্টুর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে জেলা দোকান মালিক সমিতি ও চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এমপি আনার হত্যার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মিন্টুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মিন্টুকে নির্দোষ দাবি করে তার দ্রুত মুক্তির দাবি জানানো হয় কর্মসূচি থেকে। পরে সেখান থেকে বের করা বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।