ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকিতে স্থাপনা, কাজে আসছে না জিও ব্যাগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর

প্রকাশিত: ২১:০৯, ১২ জুন ২০২৪

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে হুমকিতে স্থাপনা, কাজে আসছে না জিও ব্যাগ

ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সানন্দবাড়ী পাটাধোয়াপাড়া এলাকা

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ভাঙন প্রতিরোধে কোনো কাজেই আসছে না জিও ব্যাগ। ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের সানন্দবাড়ী বাজার, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক গ্রামের মানুষের বসতভিটা ও ফসলি জমি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নদীর পানি বাড়তে থাকায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন প্রতিরোধে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জিও ব্যাগ ফেলা অবস্থায় আবারও দেখা দিয়েছে ভাঙন। কোনো কাজেই আসছে না জিও ব্যাগ।

ইতোমধ্যে সাত শতাধিক বসতভিটা, ৩০০ একর ফসলি জমি, পাটাধোয়াপাড়া জামে মসজিদ, পাটাধোয়াপাড়া নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। পাটাধোয়াপাড়ার আব্দুল হালিম বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের অনেক ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। এখন জমিজমা নেই বললেই চলে। ফসলি জমি ভেঙে যাওয়ায় খুব কষ্টে জীবন চলছে।

এভাবে ভাঙতে থাকলে শেষ সম্বল বসতভিটাটুকুও রক্ষা করতে পারব না। আমরা সরকারের কাছে একটি স্থায়ী বাঁধ চাই। একই এলাকার আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, নদীর ভাঙনে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত কতবার যে ঘর-বাড়ি ভাঙতে হয়েছে, তার কোনো হিসাব নাই। সব হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। বাঁধ ছাড়া অন্য কিছুতে এ ভাঙন ঠেকানো যাবে না।

সানন্দবাড়ী বাজার বণিক সমিতির সভাপতি গাজীউর রহমান বলেন, কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের সানন্দবাড়ী বাজার ও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। নদীভাঙনে এ অঞ্চলের মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। এখন যেটুকু আছে তা রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে। দ্রুত প্রকল্পটি পাস হলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হবে।

×