ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

চট্টগ্রামে জমে উঠছে পশুর হাট

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২২:১১, ১১ জুন ২০২৪

চট্টগ্রামে জমে উঠছে পশুর হাট

সাগরিকায় জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট

চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর হাটে শুরু হয়েছে বেচাকেনা। শুরুতে কিছুটা কম হলেও ক্রমেই জমে উঠছে পশুর হাটগুলো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রাকযোগে আসছে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়াসহ বিভিন্ন জাতের কোরবানিযোগ্য পশু। নগরীর হাটগুলোর মধ্যে সাগরিকা বাজার ও বিবিরহাট বেশ দ্রুতই জমজমাট রূপ নিচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিনের মধ্যে পশুর হাটে উপচে পড়বেন ক্রেতারা।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে এবার বসছে ১০টি কোরবানির পশুর হাট। এরমধ্যে তিনটি স্থায়ী হাট রয়েছে, যেগুলোর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে সাতটি অস্থায়ী হাট। বাজারগুলোকে সপ্তাহখানেক আগে থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে হাজার হাজার খুঁটি পুঁতে। বর্ষা মওসুম হওয়ায় ত্রিপল দিয়ে আচ্ছাদন প্রস্তুত করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার সাগরিকা পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দ্রুততার সঙ্গে ভরে উঠছে হাট। ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নওগাঁ, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রাকে ট্রাকে প্রতিদিনই আসছে গরু। বেপারিরা অপেক্ষাকৃত সস্তা এলাকা থেকে পশু কিনে আনছেন চট্টগ্রামে। এখন রাত-দিন খোলা পশুর হাট। তবে প্রথম পর্যায়ে দেখাদেখি ও দর যাচাইয়ের কাজটিই বেশি হচ্ছে। অল্পসংখ্যক গরু বিক্রি হচ্ছে। 
ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন, শহরে সাধারণত কোরবানি ঈদের দুদিন আগে থেকে বেচাকেনা হয়ে থাকে। কারণ, গ্রামের মতো পশু রাখার জায়গা নেই নগরে। তাছাড়া বর্ষা প্রায় চলেই এসেছে। এ সময়ে কোরবানির পশু রাখা একটি বড় সমস্যা। তারা আশাবাদী যে, এখন বিক্রি কম হলেও যারা কেনার তারা ঠিকই কিনে নেবেন।

কারণ, কোরবানির ঈদ বলে কথা। চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, চট্টগ্রামের খামারগুলোতে যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কিছুটা কম। এবার পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ৮ লাখ ৮৫ হাজার। এর বিপরীতে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে ৮ লাখ ৫২ হাজার। ফলে কিছুটা সংকট রয়েছে।

মাগুরায় আমদানি ব্যাপক
নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় শেষ মুহূর্তে ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পশুর আমদানি ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ইটখোলা, রামনগর, কাটাখালী, আলমখালী, আলোকদিয়া, বেথুলিয়া, নহাটা, আড়পাড়া, সীমাখালী, লাঙ্গলবাধ প্রভৃতি স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসেছে। বিভিন্ন আকারের গরু ও ছাগল উঠেছে বিক্রির জন্য।

কোরবানি দিতে ইচ্ছুক ক্রেতারা হাটের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ঘুরে-ফিরছেন সাধ্যের মধ্যে তাদের পছন্দের ছাগল ও গরুটি কেনার জন্য। দাম ও মোটামুটি ক্রেতার আয়ত্তের মধ্যে। পশু বিক্রিও হচ্ছে ভালো। তবে বড় পশুর দাম বেশি। কোরবানির বাজার কাপাচ্ছে ভাগ্যরাজ, মহারাজ ও পদ্মরাজ যথাক্রমে ৪০, ৩৪ ও ৩০ মণ ওজনের ষাঁড়।

যশোরে ক্রেতা কম
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস থেকে জানান, কোরবানির পশুহাটে পশুর আমদানি বেশি থাকলেও কাক্সিক্ষত দাম পাচ্ছেন না বিক্রেতারা। কঠোর পরিশ্রমে উৎপাদন করা কোরবানির পশু কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাদের।
মঙ্গলবার চৌগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী পুড়োপাড়া পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ হাটে দেখা যায়, যশোর, ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারী ও খামারিরা। কোরবানির গরুর ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হাটটি। তবে এসব পশু নিয়ে ক্রেতাদের অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা। হাঁক-ডাক দিয়েও ক্রেতা মিলছে না এ হাটে।

রয়েছে মাঝারি থেকে শুরু করে বড় আকৃতির গরুর আমদানি। বেশিরভাগ খামারি এবং বিক্রেতা ট্রাক, ট্রলিতে বহন করে একসঙ্গে ৫ থেকে ১০টি বা তার অধিক গরু নিয়ে এসেছেন এ পুড়োপাড়া হাটে। বিক্রেতারা বলছেন, পশুর আমদানি বেশি হলেও হাটে ক্রেতার সংকট। অতিরিক্ত গরম এবং জায়গা বিশেষত হাটের অব্যবস্থাপনার কারণে হাট থেকে পশু ক্রয় করতে অনীহা জাগছে ক্রেতাদের।

একসঙ্গে একাধিক পশু এনে বিক্রি না হওয়ায় পুনরায় অন্য হাটে বা খামারে ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে পরিবহন খরচও বেশি ব্যয় হচ্ছে বিক্রেতা ও ব্যাপারীদের। ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে ৫টি গরু নিয়ে পুড়োপাড়া পশু হাটে আসেন খামারি সানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার খামারে আমি ৫টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছি। এর আগে মহেশপুরের খালিশপুর পশুহাটে উঠিয়েছিলাম, সেখানে দাম পাইনি। 

সিলেট নগরীতে বসবে আট হাট
স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সিলেটে পশু বিক্রির হাট তৈরি হয়ে গেছে।  নগরীর ৮টি স্থানে বসবে অস্থায়ী পশুর হাট। নির্ধারিত স্থান ছাড়া অবৈধ পশুর হাট বসালেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) কর্তৃপক্ষ।

নগরীর পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী শৃঙ্খলার সঙ্গে হাট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ নিয়ে পরিষদের একটি জরুরি সভায় আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৩ জুন থেকে ৫ দিন সিলেট মহানগরে ৮টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। এগুলো ছাড়া অবৈধ হাট বসতে দেওয়া হবে না।

সিসিক সূত্র জানায়, ১৩ জুন থেকে ৫ দিন মহানগরের টুকেরবাজার (তেমুখী পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা), মাছিমপুর কয়েদির মাঠের খালি জায়গা, মেজরটিলা বাজার-সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহপরাণ পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা, শাহী ঈদগাহ খেলার মাঠের পেছনের অংশ, সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন এস ফল্ট মাঠ ও দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন ট্রাক টার্মিনালে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এ ছাড়া মহানগরের কাজিরবাজারে থাকছে স্থায়ী হাট।

টাঙ্গাইলে ‘স্বপ্ন’কে দেখতে ভিড়
নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, গোপালপুর উপজেলার পৌর শহরের চন্দ্রবাড়ী এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আবুল কাশেমের কন্যা নিপা আকতার (২৫) নিজ খামারে দুটি ষাঁড় পরম মমতায় লালন-পালন করেন। একটি শাহিওয়াল জাতের এক বছর বয়সী ‘নবাব’ এবং অপরটি ২ দাঁত বয়সী ফ্রিজিয়ান জাতের ‘স্বপ্ন’।

এবারের কোরবানি ঈদ উপলক্ষে ১৭ মণ ওজনের ষাঁড় স্বপ্নকে বিক্রি করে দিতে চান তিনি। নিপা আকতার জানান, বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় অনেক কষ্টে খড়, কাঁচা ঘাস, ভুসি, খুদের ভাত এবং ফলমূল খাইয়ে বড় করেছেন। ষাঁড়টার পিছনে ৭০০-১০০০ টাকা দৈনিক ব্যয় হয়। প্রতিদিন ২/৩ বার গোসল করানো হয়। মা-মেয়ে মিলে তারা যতœ করেন। তাদের গরুটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমায় এলাকাবাসী।

দাম হাঁকা হচ্ছে ৬ লাখ টাকা। তবে আলোচনা সাপেক্ষে বাজার মূল্য অনুযায়ী বিক্রি করতে চান। যারা কিনতে চান তারা যেন বাড়িতে বা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন। গরুটি উপযুক্ত দামে বিক্রি করতে পারলে আগামীতেও বড় গরু লালন-পালন করবেন। যদি ন্যায্য দাম না পান, তবে গরু পালনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

সোনারগাঁয়ে নদী ও সড়কপথে আসছে গরু
নিজস্ব সংবাদদাতা সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, পশুর হাটগুলোতে সড়ক ও নদীপথে কোরবানির পশু দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে হাটগুলো জমজমাট হয়ে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে হাট পরিচালনা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলায় ১৩শ’ ৫টি ছোট-বড় খামার রয়েছে।

এসব খামারে প্রায় ১২ হাজার কোরবানির পশু লালন-পালন করে প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। কিন্তু চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩২ হাজার ৮৭৬টি পশুর। ঘাটতি প্রায় ২১ হাজার পশু দেশের বিভিন্ন জেলার খামারিদের কাছ থেকে পাইকার নিয়ে এসে এখানকার চাহিদা পূরণ করবেন। এ উপজেলায় এ বছর স্থায়ী দুইটি হাটসহ অস্থায়ী ১৯টি পশুর হাটের ইজারা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

এ হাটগুলোতে সিরাজগঞ্জ, রংপুর, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সড়ক ও নদীপথে মেঘনা ও শীতলক্ষ্যা নদী তীরবর্তীসহ আশপাশের হাটগুলোতে কোরবানির পশু জমা করছেন পাইকাররা। তালতলা অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ন কবির ভুঁইয়া জানান, প্রতিটি পাইকার, খামারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে হাট কমিটির ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি পুলিশ কাজ করবে।
 
গফরগাঁওয়ে কালা বাবু কিনলে ছাগল ফ্রি
নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ময়মনসিংহ থেকে জানান, গফরগাঁও উপজেলার প্রতিটি পশুহাটে কৃষক ও খামারিরা দেশীসহ নানা জাতের গরু হাটে তুলেছেন। তবে দেশী গরুর চাহিদা বেশী। গতবারের চেয়ে এ বছর গরুর মূল্য কমই রয়েছে বলে ক্রেতারা মনে করছেন। বিক্রেতারা বলছেন কালা বাবু কিনলে প্রায় ২০ হাজার টাকার ছাগল ফ্রি।

সোম ও মঙ্গলবার উপজেলার সালটিয়া, দত্তের বাজার, শিবগঞ্জ বাজার ও উঠিয়ার বাজারসহ পৌর এলাকার কোরবানির হাটে প্রচুর গরু বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রায় আঠারো মণ ওজনের গরু সাড়ে সাত লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন। যদিও এই গরু কেনার মতো ক্রেতা বাজারে দেখা যায়নি। দুই-একজন ক্রেতা দাম জিজ্ঞেস করেই ফিরে যাচ্ছে।

অন্যদিকে চার মণ ওজনের দেশী গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৫ হাজার থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রকারভেদে। ক্রেতা রমজান আলী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার দাম কম পেলাম। আরেক ক্রেতা জয়নাল মিয়া ১ লাখ ২৫ হাজার টাকায় ৫ মণ ওজনের গরু কেনেন। তিনি জানালেন, গতবারের চেয়ে এবার কম দামেই কোরবানির গরু কিনতে পারলাম। তবে দাম কম ও আমদানি বেশী হওয়ায় বাইরের ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে গরু ঢাকাসহ অন্য জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। 

কেরানীগঞ্জে আসছে কোরবানির পশু
সংবাদদাতা কোরানীগঞ্জ থেকে জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। মঙ্গলবার সকাল থেকেই গরুর ট্র্যাক নিয়ে ব্যাপারীরা কেরানীগঞ্জের হাটগুলোতে প্রবেশ করতে থাকে। রাজশাহী থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী ফাহিম বলেন, আমরা প্রতি বছর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাটে ৫০/৬০টি কোরবানির পশু নিয়ে আসি।

এ হাটে বিক্রি ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা যত কষ্টই হোক তারপরও এ হাটেই আসি। এখানে হাট কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য পর্যাপ্ত থাকা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জামালপুর থেকে গরু নিয়ে আসা কলিম ব্যাপারী বলেন, আমরা গরিব মানুষ একটু বেশি দাম পাওয়ার আশায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাটে এসেছি।

এখনো গরু বেচাকেনা শুরু হয়নি। আমি ৩০টি গরু নিয়ে এসেছি। এক ক্রেতা জানান, পশুর হাটে ঘুরছি যদি দামে বনিবনা হয় তাহলে পশু কিনে বাসায় যাব। তবে এখন পশুর অনেক দাম হাঁকাচ্ছে বিক্রেতারা। আশা করি আরও পশু হাটে এলে দাম কমে আসবে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বলেন, কেরানীগঞ্জের প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

×