ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

উদ্ধার মাংসের টুকরা মানুষের- ফরেনসিক রিপোর্ট

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ১০ জুন ২০২৪

উদ্ধার মাংসের টুকরা মানুষের- ফরেনসিক রিপোর্ট

আনোয়ারুল আজিম আনার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মাংসের টুকরাগুলো মানুষের, এটা উল্লেখ করা হয়েছে ফরেনসিক রিপোর্টে। তবে এই মাংসপি- মানুষের হলেও তা খুন হওয়া এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য করতে হবে ডিএনএ টেস্ট।

সেক্ষেত্রে এমপি আনারের মেয়ে অথবা তার ভাইয়ের রক্তের নমুনা নেওয়া হতে পারে। সে কারণে বাংলাদেশে অবস্থানরত এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কলকাতার সিআইডি। অপরদিকে কলকাতার সিআইডি কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে যে হাড়গোড় উদ্ধার করেছে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবে।

এ ছাড়া ডিবির হাতে রিমান্ডে থাকা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে অব্যাহত জিজ্ঞাসাবাদে অনেকেরই নাম বলেছে, যারা তদন্তে ফেঁসে যেতে পারেন বলে তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে খুন হন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল আজিম আনার। অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তিতে বলা হয়েছে, হত্যার পর টুকরা টুকরা করা হয় এমপি আনারের নিথর দেহ। এরপর মাংসের টুকরা ফেলা হয় সঞ্জীবা গার্ডেনসের কমোডের ভেতর এবং পার্শ্ববর্তী বাগজোলা খালে ফেলা হয় হাড়গুলো।

টানা অভিযান চালিয়ে কলকাতার কৃষ্ণমাটি সেতু সংলগ্ন এলাকার বাগজোলা খাল থেকে কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছে সিআইডি। সঙ্গে ছিল পুলিশ ও নৌবাহিনীর ডিএমজি টিম। উদ্ধার হাড়গুলো মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, তা জানতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মানুষের হলে সেগুলো এমপি আনারের কি না তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এমপি আনার হত্যা মামলার তদন্তে কলকাতায় গিয়ে সঞ্জীবা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাঙ্ক ভাঙতে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন সঞ্জীবা গার্ডেনের কমোড, সেপটিক ট্যাঙ্ক ও স্যুয়ারেজ লাইন পরীক্ষা করা দরকার। এরপরেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কয়েক টুকরা মাংস পাওয়া যায়।

সেই অনুসারে সেপটিক ট্যাঙ্ক ভেঙে গত ২৮ মে প্রায় চার কেজির মতো মাংসের টুকরা উদ্ধার করে সিআইডি। পচে যাওয়া মাংসের টুকরাগুলো মানুষের কি না তা জানতে পাঠানো হয় ফরেনসিক পরীক্ষায়। প্রাথমিকভাবে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংস এমপি আনারের মনে করা হলেও এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে ফরেনসিক এবং ডিএনএ টেস্ট জরুরি হয়ে উঠেছে। নমুনা এরই মধ্যে সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল) পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে ডিএনএ টেস্টও করা হবে।
শাহীনের অধীনে কাজ করতেন সিয়াম ॥ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের অধীনে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সিয়াম হোসেন। পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দাদের কাছে এ কথা জানিয়েছেন সিয়াম নিজেই। তবে তিনি ঠিক কী ধরনের কাজ করতেন, তা নিশ্চিত নয়।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এলাকা থেকে সিয়ামকে গ্রেপ্তার করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। অনেক নাটকীয়তার পর ওইদিন রাতে সিআইডি জানায়, এমপি আনার হত্যাকা-ের অন্যতম আসামি সিয়ামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান তদন্তকারীরা।

সিয়ামকে নিয়ে ফের ভাঙ্গরের সাটুলিয়া কৃষ্ণমাটি ও জিরানগাছা বাগজোলা খালে তল্লাশি চালান সিআইডি, ভারতীয় নৌবাহিনী ও কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় খালের একটি অংশ থেকে বেশকিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেন তারা। হাড়গুলো ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাগজোলা খালের যে অংশে এমপি আনারের দেহাংশ ফেলা হয়েছিল, সেখানে আরও কয়েক ধাপে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হবে। আশা করা হচ্ছে, এতে আরও কিছু দেহাংশ মিলতে পারে।
সিআইডির সূত্র জানিয়েছে, জেরার মুখে সিয়াম আরও জানিয়েছেন, এমপি আনার হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্র, ট্রলিব্যাগ, পলিথিন সবকিছুই কেনা হয়েছিল কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা থেকে। এমপির দেহাংশের মাংস কিমা করার জন্য একটি মেশিনও কিনে এনেছিলেন অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল এবং মুস্তাফিজ। এমপি আনারকে শ্বাসরোধে হত্যা করার পর তার দেহের হাড় ও মাংস আলাদা করা হয়।

পরে সেই মাংস ছোট ছোট টুকরা এবং কিমা করা হয় ওই মেশিন দিয়ে। মেশিনটি কোথায় রয়েছে তা ফয়সাল জানেন বলে দাবি করেছেন সিয়াম হোসেন। যদিও এখন পর্যন্ত এমপি আনারের মাথার খুলি এবং হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া যে ট্রলি ব্যাগে করে আনারের দেহাংশ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেটিরও হদিস মেলেনি। এগুলোর খোঁজে সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিআইডি।
খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বাবুর ॥ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারকে নিয়ে ক্রমশ রহস্যের জাল বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ঘটনায় রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এমপি আনারের অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের এই নেতা খুনিদের সঙ্গে দেখা করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ১৭ মে বাবু ফরিদপুরের ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ির মধ্যে আমানুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন এবং যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেখানকার ছবি দেখেন এবং হত্যাকাণ্ডে কত টাকা হাতবদল হয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন।

গত ৯ জুন ঢাকার একটি আদালতে পুলিশের দাখিল করা তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাবু খুনের আগের দিন রাত সাড়ে ১০টায় ঘটনার অন্যতম আসামি আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (ডিবি) মাহফুজুর রহমান।

বাবু এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামানের মামাত ভাই। নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে খুন হওয়া বাংলাদেশের এমপি আনোয়ারুল আজিমকে খুন করার পর তার ছবি দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শক্তিশালী চেতনানাশক দিয়ে আনোয়ারুল আজিমকে অচেতন করে ফেলা হয়। পরে বালিশ চাপা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়।

এরপর পোশাক খুলে মৃতদেহের ছবি তুলে পাঠানো হয় ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের জেলা ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ ওরফে বাবুর ফোনে। ওই ছবি কামাল আহমেদ বাবুর ফোনে পাঠিয়েছিলেন শিমুল ভুঁইয়া। আনোয়ারুল খুনে একটা বড় ভূমিকা ছিল শিমুলের। সেকথা তিনি আদালতে স্বীকারও করেছেন। ছবিটি কেন কামালের কাছে পাঠানো হয়েছিল, এ বিষয়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এখানে দুটি বিষয় থাকতে পারে।

প্রথমত, খুনিরা হয়তো চেয়েছিল আনোয়ারুল হত্যাকা-কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব হিসেবে উপস্থাপন করতে। দ্বিতীয়ত, ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা অঞ্চলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা এই খুনের বিষয়ে অবগত থাকতে পারেন। এর কারণ হিসেবে ডিবি সূত্র বলছে, শিমুল ভুঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কাজী কামালের বাইরেও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আরও এক নেতার নাম জানা গিয়েছে।
এ ছাড়া এর আগে আমানুল্লাহ আদালতে স্বীকার করেন, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য হত্যাকা-ে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের সমন্বয়কারী ছিলেন তিনি। গত ৮  জুন গ্রেপ্তারের পর কামাল হোসেন বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ নিয়ে এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত অপর তিন আসামি শিলাস্তি রহমান, আমানুল্লাহ ও তানভীর ভুঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং কারাগারে রয়েছেন।

এ ছাড়াও জিহাদ হাওলাদার ও সিয়াম হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাশীপুর এলাকার একটি খালের পাড় থেকে এমপি আনারের সন্দেহভাজন হাড় উদ্ধার করেছে। ১৪ দিনের রিমান্ডে থাকা সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি কর্মকর্তারা এই হাড় উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছে তারা।
ডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আক্তারুজ্জামান ও আমানউল্লাহর সঙ্গে অনলাইনে হওয়া বেশিরভাগ কথোপকথন বাবু মুছে ফেলেছেন। অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। তবে আক্তারুজ্জামান যিনি এমপি আনারের সঙ্গে স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালান চক্র চালাতেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমপি আনার গত ১২ মে কলকাতায় গিয়ে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে এক রাত থাকেন। পরের দিন তিনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বের হন। গত ২২ মে ভারত ও বাংলাদেশের পুলিশ জানায়, এমপি খুন হয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকা-ের ঘটনায় আরও অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন।

হত্যাকা-ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ থেকে কাজী কামাল আহমেদ (বাবু) নামে আওয়ামী লীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তিনি আনার হত্যাকা-ের অর্থ বিনিময়ে জড়িত। এমপি আনার হত্যাকা-ের মূল আসামি যুক্তরাষ্ট্রে।

শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে বসেই সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখেন ॥ সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকা-ের পর  সামনে আসে মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের বাগানবাড়ি। সেখানে এমপি আনারও একাধিকবার গেছেন বলে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই শতাধিক সিসি ক্যামেরায় বাড়িতে চোখ রাখেন আনারের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর বাড়ির পাহারায় দায়িত্ব পালন করে তিন জার্মান শেফার্ড।

কোটচাঁদপুর শহর থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। হাতের ডানপাশে গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার যাওয়ার পর মহাসড়ক থেকে সরু পাকা রাস্তা দুই ভাগ। মাঠ পেরিয়ে চারপাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ও ফুলেঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার বেশিরভাগই কাচঘেরা।

ঝুলছে বড় বড় পর্দা। আশপাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আর কোনো বাড়ি নেই। বছর তিনেক আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন দোতলা এই বাংলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে এই বাড়িতেই থাকতেন শাহীন। সে সময় বিলাসবহুল গাড়িতে করে প্রভাবশালী লোকজনের আনাগোনা থাকে বাংলোয়। এই বাংলোর চারপাশে শতাধিক সিসি ক্যামেরা লাগানো যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসে চোখ রাখেন এমপি আনার খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন-এমনটাই জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

×