ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

সহকর্মীকে হত্যাকারী কনস্টেবল কাউছার মানসিক ভারসাম্যহীন: দাবি পরিবারের 

নিজস্ব সংবাদদাতা, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৯ জুন ২০২৪

সহকর্মীকে হত্যাকারী কনস্টেবল কাউছার মানসিক ভারসাম্যহীন: দাবি পরিবারের 

অভিযুক্ত কনস্টেবল কাউছার

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের গার্ড রুমের সামনে মনিরুল ইসলাম নামে এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেন কাউছার আলী নামে অপর এক সহকর্মী পুলিশ সদস্য।

অভিযুক্ত কাউছার আলী কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী দাড়ের পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়াত আলীর মাস্টারের ছোট ছেলে। 

এ বিষয়ে রবিবার বিকেলে এলাকায় গিয়ে জানতে চাইলে এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, কাউছার ২০০৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকুরি জীবনের বছর পাঁচেক কাটিয়ে ২০১০ সালের দিকে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। পরে তাকে সরকারী ভাবে কয়েক বার পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। 

চাকুরি করা অবস্থায় বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। তবে পারিবারিকভাবে কোন সমস্যা ছিলনা বলেও জানান পরিবাবের সদস্যরা। 

অভিযুক্ত কাউছার মাদকাসক্ত কিনা জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসী বলেন, সে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল, মাদকাসক্ত ছিলনা। তবে মাঝে মাঝে সে অসুস্থ হয়ে পড়তো। গত ৪/৫ দিন ধরে পরিবারের সাথে কম কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী। 

কাউছারের বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা মাবিয়া খাতুন বলেন,  আমার ছেলে এমনিতে খুব ভাল। তার মাথার সমস্যা আছে। সে চাকুরিতে যোগদানের পরে অসুস্থ হয়। তার সাথে আমার (শনিবার) রাত ৮টায় সময় শেষ কথা হয়েছে। আমার সাথে ভালো ভাবেই  সে কথা বলেছে। মা কেমন আছো, আব্বা কেমন আছে বলে জিজ্ঞেসা করেছে আমাকে।  তবে কয়েকদিন ধবে বাড়িতে একটু কম কথা বলতো আমার ছেলে কাউছার।

এ বিষয়ে কাউছরের স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন সাথী বলেন, আমার স্বামী মানসিক রোগে আক্রান্ত। সে মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়তো, তাকে কয়েকবার পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা করানো হয়েছে। চিকিৎসার কাগজপত্র আমার স্বামীর কাছে আছে। আমাদের পারিবারিকভাবে কোন সমস্যা ছিলো না। তবে সে মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে পরিবারের সাথে কম যোগাযোগ করতো এবং কথাও কম বলতো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত কাউছারের প্রতিবেশী দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বলেন, কাউছার চাকুরিতে যোগদানের ৫ বছর পর থেকে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা করানোর পর সে সুস্থ হলে আবার চাকুরিতে যোগদান করে।

 

এবি

×