ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

কালনী-কুশিয়ারা তীরের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ৫ জুন ২০২৪

কালনী-কুশিয়ারা তীরের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কে

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙনকবলিত বদরপুর গ্রাম

আজমিরীগঞ্জে কালনী-কুশিয়ারা নদীতীরের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা নদী ভাঙনের শঙ্কায় দিনরাত পার করছে। এখানে নদীর তীর রক্ষায় নেওয়া হচ্ছে না কার্যকরী পদক্ষেপ। এ কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।  
উপজেলার কাকাইলছেও ইউনিয়নের কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙনকবলিত বদরপুর গ্রামের বাসিন্দা সামরিক মিয়া বলেন, আমার বাড়ি ছিল। ভাঙতে ভাঙতে ভিটের মাত্র আধা শতাংশ বাকি আছে। বাপের ভিটা মনে হয় নদীই গিলে খাবে। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারি না।
শুধু তাই নয় গত এক মাসে সামরিক মিয়ার বাড়ির মতো নদীগর্ভে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন বদরপুর গ্রামের সুজিত, অবিনাশ, অধীর, অশ্বীনি, দীপঙ্কর, মনোরঞ্জন, অরিবৃন্দ, নীলকান্ত, মতিন্ড, যামিনী, রমাকান্ত, গৌতম, সুশেন, লবু ও ভূষেনসহ ৩০ জনের পরিবার। বদরপুর ছাড়াও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আরও ৩টি গ্রামের হাজারো পরিবার কালনী-কুশিয়ারা নদী ভাঙনের শঙ্কায় দিনরাত পার করছে।

জানা গেছে, কালনী-কুশিয়ারা নদীর ভাঙন প্রতিদিন বাড়ছে। কাকাইলছেও ইউনিয়নের মনিপুর, সৌলরী, কালনীপাড়ার কয়েকটি বসতঘর যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়ে বিপাকে পড়েছেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষগুলো। ভাঙনকবলিত অনেকে আত্মীয়-স্বজন ও সরকারি পতিত জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সৌলরী গ্রামের মজিবুর রহমান মিয়া ও সামরিক মিয়া বলেন, আমাদের বসতঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জিও ব্যাগগুলোও পড়ে যাচ্ছে। আর কিছুদিন এভাবে থাকলে কয়েকটি গ্রাম নদী গিলে খাবে।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক বলেন, নদী ভাঙনের কবলে পড়া গ্রামগুলো পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×