ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশ

প্রধান শিক্ষক-কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগের তদন্ত!

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৬:৩২, ৪ জুন ২০২৪; আপডেট: ১৭:৩২, ৪ জুন ২০২৪

প্রধান শিক্ষক-কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির অভিযোগের তদন্ত!

কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ বিক্রির অভিযোগ

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি  ইউনিয়নের ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনিসুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো: ফারুক হোসেন মল্লিক, সদস্য মো: আবু জাফর ও সদস্য হাবিবুর রহমান মৃধার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠে।

গত ১৯ মে দৈনিক জনকণ্ঠ নিউজ পোর্টালে 'প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে স্কুলের গাছ বিক্রির অভিযোগ' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের নজরে আসলে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমারকে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার ৪ জুন বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছেন।প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেশের বাহিরে অবস্থান করার সুযোগে গত ১৪ ও ১৫ মে বিদ্যালয়ের লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মেহগনি ও রেন্ডি গাছ স্থানীয় নাসির ব্যাপারি নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি সংক্রান্ত কোন তথ্যই জানেন না কমিটির সভাপতি আমেরিকায় অবস্থানরত শফিকুল ইসলাম। 

বিদ্যালয়ের  ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম দেশের বাহিরে অবস্থান করায় সেই সুযোগে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্যরা বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের পুকুরপাড় সংলগ্ন বিশালাকার বেশ কিছু রেন্ডি গাছ ও ১২টি মেহগনির গাছ বিক্রি করে দেন। বিক্রয় করা গাছ থেকে একটি রেন্ডি গাছ অর্ধেক অংশ কেটে ফেলেছে ও ১২ টি মেহগনি গাছ পুরোপুরি কেটে ফেলেছে। কাটা গাছগুলি এখন পুকুরপাড়ে পড়ে রয়েছে। 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান বলেন, আমি গাছ বিক্রি করিনি গাছ বিক্রি করেছে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। আজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার আমাদের বিদ্যালয়ে তদন্তে আসছিলেন। 

এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কাছে মুঠোফোনে ফোন করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি। 

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার জানান, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি বিষয়ে আমার তদন্ত করেছি। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গাছ বিক্রি করেছে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গাছ বিক্রি করেছে এ রকম একটি তথ্য পাবার পর প্রধান শিক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছি আর যেন একটি গাছ কাটা না হয়। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করার ঘটনার তদন্ত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

এসআর

×