ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

একযুগ পর শেরপুর-ঝিনাইগাতী রুটে আবারো লোকাল বাস চালু

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইগাতী, শেরপুর 

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ২ জুন ২০২৪

একযুগ পর শেরপুর-ঝিনাইগাতী রুটে আবারো লোকাল বাস চালু

শেরপুর-ঝিনাইগাতী রুটে আবারো লোকাল বাস চালু

শেরপুর জেলার উত্তরের জনপদ ঝিনাইগাতী উপজেলার দূরত্ব জেলা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার। ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা শেরপুর-ঝিনাইগাতী রুটে দীর্ঘ এক যুগ পর লোকাল আবারো বাস চালু হলো।

এই উপজেলায় সমতলের সাধারণ জনবসতির বাইরেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বিরাট একটা অংশের বসবাস। তাদের বেশির ভাগ মানুষই নিম্ন আয়ের। উপজেলার বাইরে কোথাও গেলে সবাইকে মূল জেলা সদরের ভিতর দিয়েই যেতে হয়। কিন্তু তাদের যাতায়াতের একমাত্র বাহন হলো সিএনজি চালিত অটোরিকশা। এই স্বল্প দূরত্বের রাস্তা আসতে গুনতে হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এই পথে দীর্ঘ ১২ বছর পর আবার লোকাল বাস সার্ভিস চালু করেছে শেরপুরের তিন পরিবহন ব্যবসায়ী। অটোরিকশার দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচতে লোকাল বাস চালু হওয়ায় যাত্রীরা খুব খুশি। অপরদিকে ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০ টাকা। এতে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। আগে বিকল্প কোন যান না থাকায় অটোরিকশাগুলো বেপরোয়াভাবে পাল্লা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মাঝেই ঘটাতো দুর্ঘটনা। ঘটতো প্রাণহানির মতো ঘটনা।

জানা যায়, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকেই শেরপুর জেলা শহর থেকে ঝিনাইগাতীর মানুষের একমাত্র বাহন ছিলো বাস। কিন্তু সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেড়ে যাওয়ায় বাসের ব্যবসায় টান পরে। কারণ সেই সময়ের বাস ছিলো ডিজেল চালিত ইঞ্জিনের। ফলে খরচ বেশি হওয়ায় লাভ কম হতো। সময় লাগতো বেশি। পরে ব্যবসায়ীরা রাস্তায় বাস কমাতে কমাতে এক সময় বন্ধই হয়ে যায় বাস সার্ভিস। ফলে মানুষ বাধ্য হয়েই অটোরিকশাতেই চলাচল করছে এক যুগ ধরে। এই সুযোগে অটোরিকশার ভাড়া বাড়তে বাড়তে হয়েছে প্রায় তিন গুণ। তবে তিন বাস মালিকের প্রচেষ্টায় মে মাসের ১৪ তারিখ থেকে ৭টি বাস দিয়ে চালু হয় লোকাল সার্ভিস। এর পরই সাধারণ যাত্রিদের মধ্যে ফিরে আসে স্বস্তি। এই বাস সার্ভির চালু হওয়ার পর থেকেই অটোরিকশার ভাড়া ৫০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৩০ টাকায়। 

উপজেলার কালিবাড়ী এলাকার যাত্রী আমিন মাহমুদ বলেন, লোকাল বাস না থাকার সুযোগে একটা যুগ আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া পরিশোধসহ নানাভাবে হয়রানি ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। আমাদের যাতায়াত এখন নিরাপদ হয়েছে। ভাড়া কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।

‘রাকা-রাকিব তালুকদার’ পরিবহনের চালক মো. আবু সাইদ বলেন, আমি দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বাসে কর্মরত আছি। এই লাইনে জীবন পার করে দিলাম। আমাদের ভাড়া অটোরিকশার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ। তাই নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের মাধ্যমে সেবা পাবে এটাই আমাদের আনন্দের।

×