আশ্রয়কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল কলাপাড়ার উপকূলে আঘাত হানতে পারে সাত নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার খবর প্রচারের পর থেকে কিছু লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে।
সিপিপির এমন প্রচারের পর থেকে কলাপাড়ার ১২ টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভার মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।
তবে বেড়িবাঁধের বাইরের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার রয়েছে জলোচ্ছ্বাস ঝুঁকিতে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানলে এসব পরিবারের ঘরবাড়ি ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই রেমাল আতঙ্কে এসব পরিবারের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
রেমাল মোকাবেলায় কলাপাড়া উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সকল মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সকল ধরনের চেষ্টা চলছে।
প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, ১৫৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং ২০টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার সংগৃহীত রাখা হয়েছে। সকল ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসআর