আনোয়ারুল আজিম আনার
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার পর হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। খণ্ড বিখণ্ড লাশে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে লাগেজে ভরে খালে ও জঙ্গলে ফেলে হত্যাকারীরা। তাই তার লাশ পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে ভারতীয় পুলিশ হন্যে হয়ে লাশ খুঁজছে। ঘটনার দিন ১৩ মে সকালে কলকাতায় বন্ধুর বাসা থেকে বের হলেও কাজ নিয়ে কথা আছে, এমনটি বলে নিউটাউনের বহুতল আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনসে মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিনের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে যান আনার।
সেখানে যাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যেই আনারকে খুন করে ভাড়াটে খুনিরা। সেখানে হত্যাকা-ের সময় উপস্থিত ছিল শাহীনের বেয়াই ও মূল হত্যাকারী শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ।
মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে সোনা চোরাচালান ও হুন্ডির ব্যবসার দ্বন্দ্বে আনারকে খুন করা হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তার ৩ বাংলাদেশীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এমনটি জানতে পেরেছে। গ্রেপ্তার তিনজন হলোÑ শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তার ভাতিজা তানভীর এবং তরুণী শিলিস্তা রহমান।
দুই দেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ হত্যাকা- তদন্তে ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল একটি টিম বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দুই সদস্যের টিম ডিবি কার্যালয়ে ঢোকেন। তারা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কাজ করবে এবং এ ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তারকৃত ৩ বাংলাদেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তবে তদন্তের স্বার্থে ডিবিরও একটি টিম শীঘ্রই ভারতে যাবে।
ডিবির টিম ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের বিষয়ে আলোচনা করবে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করবে। অপরাধীরা দেশে সাহস না পেয়ে এবং বিদেশের মাটিতে অপরাধ করলে বাংলাদেশ পুলিশের নজরে আসবে না বলেই কলকাতা বেছে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
সূত্র বলছে, আনারের মরদেহ খুঁজে পেতে একাধিক সূত্র ধরে তল্লাশি অভিযান-তদন্ত চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। মরদেহ সম্পর্কে নির্দিষ্টভাবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে আনারের মরদেহ খ-বিখ- অংশ অবস্থায় ইতোমধ্যেই কলকাতা পুলিশের হাতে এসেছে বলেও সূত্র জানিয়েছে। তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার শিমুলের তথ্যের ভিত্তিতে বলছে, আনারের মরদেহ খুঁজে পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
যেভাবে হত্যা ও লাশ গুম করা হয় ॥ এমপি আনার নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে ডিবি। একটা পর্যায়ে ঘটনায় জড়িত শিমুল ভূঁইয়া, তার ভাতিজা তানভীর ও শিলিস্তা রহমানকে আটক করা হয়। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আনার খুন হওয়ার তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর বিষয়টি ভারতীয় পুলিশকে জানায় ডিবি।
গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ১৩ তারিখ সকালে বন্ধুর বাসা থেকে বের হওয়ার পর ফয়সাল নামে একজন আনারকে রিসিভ করে। সেখান থেকে মূল হত্যাকারী আনার ও ফয়সালকে নিয়ে চালকের গাড়িতে করে সঞ্জীবা গার্ডেনসের ওই বাসায় যায়। আগে থেকে অবস্থান করা মোস্তাফিজও বাসায় ঢোকে। আগে সেখানে ভেতরে ছিল জাহিদ ও সিয়াম। ২টা ৫১ মিনিটে ফ্ল্যাটে ঢুকার পর আনারকে চেয়ারের সঙ্গে বেঁধে শ্বাসরোধ করে প্রথমে হত্যা করা হয়।
এরপর লাশ কয়েক টুকরো করা হয়। হাড়-মাংস আলাদা করে কয়েকটি পোঁটলায় ভরা হয়। এরপর গ্রে কালারের একটি লাগেজে টুকরো টুকরো লাশ ভরা হয়। পথিমধ্যে ধরা পরার ভয়ে লাশে হলুদের গুঁড়া মেশানো হয়। দুটি লাগেজে ঢুকরো ঢুকরো লাশ ভরে জাহিদ ব্রিফকেস নিয়ে বের হয়। সিয়াম পাবলিক টয়লেটের কাছে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছিল। সেখানে আসে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ। এরপর ভারতীয় চালকসহ তারা গাড়ি নিয়ে চলে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল ভূঁইয়া আরও জানায়, সে বাংলাদেশী হওয়ায় ওখানকার জায়গা ভালোভাবে চেনা-জানা নেই। তাই ভারতীয় দুই ভাড়াটে খুনিকে লাশের টুকরোর এক একটি পোঁটলা পানির ঝিরি (পানি আছে এমন খাল) এবং নির্জন জঙ্গলে ফেলে দিতে বলা হয়। পরে একেক জায়গায় এক একটি লাশের পোঁটলা ফেলা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, হত্যাকারীরা আগ থেকে কালো পলিথিন, ব্লিচিং পাউডার ও এয়ার ফ্রেশনার কিনে রাখে। যাতে আনারকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে পলিথিনে ভরা যায়। আর রক্তের গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ও এয়ার ফ্রেশনার রাখা হয়।
আনারকে হত্যার পর কোরবানির মাংসের মতো লাশ টুকরো টুকরো করা হয়। এরপর গুম করতে বিভিন্ন স্থানে ফেলা হয়। ফতিনি জানান, আমানুল্লাহর আসল নাম শিমুল ভূঁইয়া হলেও পাসপোর্ট করা হয় আমানুল্লাহ নামে। শিমুল হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিচ্ছে।
ডিবির একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে একই নামে সে জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) তৈরি করেছে। কীভাবে সে শিমুল ভূঁইয়া থেকে আমানুল্লাহ হলো এবং ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করল, সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ডিবি পুলিশ।
হত্যার পরিকল্পনা ঢাকাতে ॥ মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহিনের গুলশান এবং বসুন্ধরা বাসায় বসেই ২/৩ মাস আগে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তবে তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের নজরদারি ও ঢাকায় হত্যাকা-ের পরে সব হত্যার ক্লু পুলিশ বের করে নেবে বলেই হত্যাকারীরা কলকাতায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আনারকে হত্যার নেপথ্যে রাজনীতি বা অর্থনৈতিক যে কারণেই থাকুক না কেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা কলকাতায় গত ২৫ তারিখ একটি বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়ার চুক্তিতে পরিবার নিয়ে থাকবে বলে বলা হয়।
তারা ৩০ এপ্রিল ওই বাসায় ওঠে। যে হত্যার পরিকল্পনা করেছে সেসহ মোট তিনজন বিমানে করে ঢাকা থেকে কলকাতায় যায়। পরে ভাড়া করা ওই বাসায় ওঠে। তারা দুই মাস ধরে খোঁজ-খবর নিতে থাকে, কখন আনার কলকাতায় যাবে। সেখানে আরও দুজন কিলার হায়ার করা হয়। তারা ওই বাসায় আসা যাওয়া করে। তারা হলো- জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম।
মাস্টারমাইন্ড গাড়ি ঠিক করে। কাকে কত টাকা দিতে হবে। কারা কারা হত্যায় থাকবে, কার দায়িত্ব কী হবে। কিছু কাজ আছে বলে ৫/৬ জন রেখে ১০ মে বাংলাদেশে চলে আসে মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীন। এরপর গত সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দিল্লি ও কাঠমান্ডু হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জামায় সে।
আর খুনের পর ১৫ মে সিলিস্তা ও শিমুল আকাশপথে ঢাকায় চলে আসে। ১৭ মে ঢাকায় আসে মোস্তাফিজুর, পরদিন ফেরে ফয়সাল। তবে জিহাদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, জিহাদের নামই সিয়াম।
আনারকে হত্যার পর ভিকটিমের মোবাইল নম্বর থেকে মেসেজ আদান-প্রদান করা হয়, যাতে করে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যাতে করে তদন্তে বেগ পায়। তারা কখনো বেনাপোল, মুজাফফরাবাদ, কখনো পশ্চিমবঙ্গের শেষ বর্ডারে। সেখান থেকে তারা মেসেজ দিয়ে গেছে। তদন্তকারীরা যাতে ডিভাইসটা খুঁজে না পায় সেটিও তারা করেছে।
ডিবি প্রধান বলেন, এই হত্যাকা-টা পরিকল্পিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে সুযোগ খুঁজেই হত্যা করেছে। আমরা ১৮ মের পর তদন্ত শুরু করেছি। যখন ভিকটিমের বন্ধু গোপাল কলকাতায় সাধারণ ডায়েরি করেন। হত্যাকারীর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মেসেজ পাঠিয়ে যে তিনি জীবিত আছেন। ম্যাসেজ এমন ছিল যে, আমি হঠাৎ করে দিল্লি যাচ্ছি, আমার সঙ্গে ভিআইপি আছে।
আমি অমিত সাহার কাছে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাবেন। তার মন্ত্রী হওয়া নিয়ে কথা হবে। আসলে আনারের ডিভাইস ব্যবহার করে এসব মেসেজ দিয়েছে হত্যাকারীরা। আমাদের কাছে আটক তিনজন স্বীকার করেছেন। আমাদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশ, কলকাতা সিআইডি এসটিএফের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার বর্ণনা মতে আনারের মরদেহ খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। কেননা, তার মরদেহ খ- খ- করা হয়েছে। কেন হত্যাকা- সেটি তো বের হবেই, তবে কারা কারা জড়িত, আরও কেউ জড়িত কিনা, রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। আমরা আশা করছি পুরোপুরি না পেলেও খ-িত হলেও মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হবে।
আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সব অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা। কী কারণে হত্যা সেটা পরে দেখব। ইন্ডিয়াতে যারা যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সঙ্গে টাকা-পয়সার লেনদেন করেছে মূল মাস্টারমাইন্ড। আমাদের কাছে তিনজন আছে। কলকাতা পুলিশের কাছে আছে দুইজন।
হত্যা মামলায় কয়েকবার জেলও খেটেছে শিমুল ভূঁইয়া ॥ আনার হত্যায় জড়িত শিমুল চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিল। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার ফুলতলার দামোদর ইউনিয়নে। খুলনা অঞ্চলে চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা ছিল সে। তার বিরুদ্ধে খুনসহ অন্তত দুই ডজন মামলা আছে।
গণেশ নামের এক ব্যক্তিকে খুন করে যশোরের অভয়নগর থানার এক মামলায় তিনি সাত বছর (১৯৯১-৯৭) জেল খাটে। ইমান আলী নামের এক ব্যক্তিকে খুনের ঘটনায় ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেল খাটে। শিমুল ভূঁইয়া এখনো খুলনার অপরাধজগতে আতঙ্কের নাম। তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এখন খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য। শিমুলের ভাই শরীফ মোহাম্মদ ভূঁইয়া (শিপলু) দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডিবি পুলিশ শিমুলসহ এখন পর্যন্ত যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের সবাই চরমপন্থি সংগঠনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। মূল সংঘটক শিমুল ভূঁইয়াকে যে ভাড়া করেছে, সেই আক্তারুজ্জামান শাহীনও পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এমএল-লাল পতাকা) শীর্ষ নেতা ডা. মিজানুর রহমান ওরফে টুটুলের আত্মীয়। মিজানুর রহমান ২০০৮ সালে পুলিশের সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়।
মরদেহ গুম করা সিয়াম কলকাতায় গ্রেপ্তার ॥ আনার হত্যার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ। তার নাম সিয়াম। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া জুবের নামে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আনোয়ারুল আজিমের লাশ গুম করার ক্ষেত্রে সিয়ামের ভূমিকা ছিল।
পূর্ব কলকাতার নিউ টাউন থানায় সিয়ামকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সিয়াম শিমুলের ব্যক্তিগত সহকারী। আর আটক জুবের লাল মারুতি সুইফট গাড়ির চালক। তাকেও নিউটাউন থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জুবের ভারতের নাগরিক হলেও সিয়াম বাংলাদেশের নাগরিক।
সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাবচালক জুবের জানিয়েছে, ১৪ মে এক নারী ও দুই পুরুষকে ট্রলিব্যাগসহ অ্যাকসিস শপিং মলের সামনে নামিয়ে দেন তিনি। সিসিভিটি ফুটেজ দেখে সিআইডি জানতে পেরেছে, অ্যাক্সিস শপিংমলে নামানোর আগে নজরুল তীর্থের কাছে গাড়িটি প্রায় ১৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় দেহাংশ কোথায় ফেলা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয় গাড়ির মধ্যেই।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাবচালক সেই আলোচনা শুনতে পারেন। এরপর অভিযুক্তদের অ্যাক্সিস শপিংমলের সামনে নামিয়ে দেন তিনি। ফলে ক্যাবচালক অনেক কিছুই জানেন, যা তিনি বলছেন না বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনারের ঘটনায় তার মেয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছেন। কলকাতায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন বাংলাদেশীর ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।