ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছেন মাঈনুদ্দিন কাপাশিয়া। ছবি: জনকণ্ঠ
সেই পাকিস্থান আমল থেকে কাগজের ব্যালটে সিল মেরে তা ভাঁজ করে বাক্সে ফেলে ভোট দিছি। এবার জীবনের শেষ সময় এসে ভোট দিলাম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে)। এখানে বাক্স্রে নাই সিল। আঙ্গুলের ছাপ আর টিপ দিয়েই ভোট শেষ।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে শিবালয়ের ধুসর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে এমন ভাবেই কথাগুলো বলতে ছিলেন ১১৩ বছর বয়সী বৃদ্ধ মাঈনুদ্দিন কাপাশিয়া। তিনি জীবনের শেষ সময়ে এভাবে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত।
মাঈনুদিন কাপাশিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, ভোট কেন্দ্রে ডুকে প্রথমে একটু এলোমেলো মনে হয়েছে। পরে দেখি এটা খুবই সহজ। কনো ঝামেলা নাই। আঙ্গুলের ছাপ শেষে তিনবার তিন টিতে টিপ দিছি আর ভোট হয়ে গেছে। এটাই হয়তো আমার জীবনের শেষ ভোট।
অপরদিকে, শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা বাবুল মৃধা বলেন, আগে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের ভোট দিতাম ব্যালটে। এখন সরকারের নতুন সিস্টেম। এতে আমাগো মতো লেখাপড়া না জানা মানুষের এভাবে ভোট দেয়া কষ্টের হলেও সিস্টেম টি ভালো লেগেছে।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার শিবালয় ইউএনও বেলাল হোসেন জানান, মঙ্গলবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্বচ্ছ ও সুষ্ঠভাবে শিবালয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মোট ৬৫কেন্দ্রের ৪৪২টি বুথে শতভাগ ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে সাধারণ ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেছেন।
এ সময় কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৪০ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট প্রদান করেছেন।
এসআর