আহত যুবককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মসজিদে নামাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তারভীর নামে এক কিশোরের পায়ুপথে টয়লেট ব্রাশ ঢুকিয়ে নির্যাতন করেছে বখাটেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় কিশোরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া বাজারের আহমেদ শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরের বরাতে আহত কিশোরের বড় ভাই আল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, আমার ভাই বাজারের একটি দোকানে কাজ করে। শনিবার দুপুরে বাজারের পাশে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে ফেরার পথে অপরিচিত এক লোক তাকে ডাক দিয়ে দোতলায় একটি বস্তা মাথায় তুলতে সহযোগিতা চায়। সরল মনে ভাই উপকার করতে আহমেদ শপিং সেন্টারের দোতলায় ওঠে। এ সময় পেছন থেকে আরও এক অপরিচিত ব্যক্তি ওঠেন।
তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি তার ভাইকে মারধর করে তিনতলায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি টয়লেটে নিয়ে তার দুই হাত-মুখ বেঁধে পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারা টয়লেটের দরজার বাইরে লাগিয়ে চলে যায়।
তারভীরের ভাই আরও জানান, প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টার পর বাঁধা হাতটি খুলতে পারে তানভীর। এদিকে দোকানের মালিক তার নম্বরে বারবার ফোন দিলেও হাত বাঁধা থাকায় ফোন ধরতে পারেনি। হাত খুলে দোকান মালিককে ফোন ধরে ঘটনা জানায়। পরে দোকানের মালিক টয়লেট থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রবিবার (১৯ মে) তার পায়ুপথ থেকে ব্রাশ বের করেন চিকিৎসকরা।
আল আমিন বলেন, আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু নেই। হয়তো কোনো খারাপ কাজ করতে না পেরে তারা ভাইকে মেরে ফেলতে পায়ুপথে ব্রাশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। বাজারের উত্তর পাশের মার্কেটগুলোতে লোকসমাগম না থাকায় সবসময় বখাটে ও নেশাগ্রস্ত লোকদের আনাগোনা থাকে বেশি। হয়তো কোনো মাদকসেবীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে।
ছাগলনাইয়া থানার ওসি হাসান ইমাম বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। ছেলেটা নির্যাতনকারীদের চিনতে পারেনি। তারপরও পুলিশ তদন্ত করছে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ করছে।
এবি