সাঁথিয়া, পাবনা : দুর্জয় সাঁথিয়া শহীদ স্মৃতিস্মারক
১৯৭১ সালে এদেশের মুক্তিকামী দামাল ছেলেদের হাত ধরে এসেছিল স্বাধীনতা। অনেক গল্প আছে, যা ইতিহাসে এখনো অনুজ্জ্বল। আর মে মাস এলেই ডেমরা স্মৃতিস্তম্ভ, রুপসী শহীদ, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও দুর্জয় সাঁথিয়া শহীদ স্মৃতিস্মারক সাঁথিয়া নতুন প্রজন্মকে মনে করিয়ে দেয় স্বাধীনতার গল্পগাথা আর জীবন উৎসর্গের ইতিহাস। শহীদদের রক্তে রঞ্জিত হওয়ার ঘটনা এখনো হৃদয়ের গভীরে জিইয়ে রেখেছেন সাঁথিয়াবাসী। সেই দিনটি ছিল ১৪ মে ১৯৭১। মঙ্গলবার বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালন করা হয়।
’৭১ সালে ডেমরা-বাউশগাড়ীতে সংঘটিত হয় গণহত্যা। এখানে ৮৫০ জন নিরস্ত্র নিরীহ মানুষকে হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের সামনে প্রাচীর না থাকায় সারা বছর পাটখড়ি, ধানের খর অথবা এলাকাবাসীদের নির্মাণ সামগ্রীতে ভরপুর থাকে। রাতের বেলায় মাদকসেবীর আড্ডাখানা। আর রুপসী শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি সারা বছর নগ্ন গায়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার পাশে। এছাড়া এগুলোর নির্মাণ কাজে অদক্ষতা, পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এসব স্মৃতিস্তম্ভ সংরক্ষণ ও পরিচর্যার যেন কেউ নেই।