থানচি ও রুমা উপজেলার সীমান্তে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান আভিযানিক এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোন সন্ত্রাসী পার পাবে না। রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি-চিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে চলে যেতে না পারে সীমান্তের বিওপি গুলো তদারকির পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে বিজিবি সদস্যরা।
সোমবার বিকেল ৪টায় বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলার দুর্গম সীমান্তের কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানিক এলাকা পরিদর্শন শেষে রুমা বিজিবি ৯ ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্পে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে রাষ্ট্রবিরোধী ব্যাংক ডাকাতি কিংবা দুঃসাহসিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কোন সন্ত্রাসী পার পাবে না। বান্দরবানে যৌথ অভিযানে বিজিবির সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন এবং কেএনএফ সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত এলাকায় কোনো অপারেশন চালাতে না পারে এবং সীমান্ত অতিক্রম করে যেতে না পারে সেই লক্ষ্যে বিজিবি সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ডাকাতি বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে কেউ পার পেতে পারেনি, কেএনএফ সন্ত্রাসীরাও পার পাবে না। বিজিবি সদস্যরা কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ধরতে পাহাড়ে অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। তাই বিজিবি সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করতে আমি নিজে এখানে এসেছি এবং সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছি।
এছাড়াও বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যাথে সাধারণ জনগণের ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে আরাকান আর্মী বিদ্রোহী দল হলেও তারা যেহেতু মাঠে আছে তাই তাদেরকে খবর পাঠানো হয়েছে এবং মিয়ানমার সরকারের সাথেও ভালো একটি সম্পর্ক আছে বলে যানান তিনি।
এর আগে বিজিবি মহাপরিচালক বিজিবি সদস্যদের সবাইকে অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন। পরে বিজিবি মহাপরিচালক থানচির বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ স্পট হাইট টিওবি, থানচি বিওপি এবং থানচি বাজার পোস্ট পরিদর্শন করেন। পরে বিজিবি মহাপরিচালক রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ দোপানিছড়া বিওপি পরিদর্শন করেন।
এতে পরিদর্শনকালীন অন্যদের মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা), বিজিবি কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার, বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার এবং বলিপাড়া ও রুমা ব্যাটালিয়নের অধিনায়করাসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআর