টমেটোর ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা
গাছে গাছে ঝুলছে পাকা টমেটো। টমেটোর ভারে নুয়ে পড়েছে গাছ। কিন্তু সেই ওজনের মূল্য পাচ্ছেন না চাষিরা। তাই অনেকটা অভিমানেই মাঠ থেকে ফসল তুলছেন না তারা। অথচ এ জমি থেকেই ৪ টাকা কেজির টমেটো ঢাকার বাজারে এসে কখনও কখনও হয়ে যায় ৪০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শুধু টমাটো ক্ষেত। জমিতে ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশায় কৃষকরা। প্রতি বছর সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়ারঢালা, সৈয়দপুর, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন : বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার যেন "হিরক রাজার আজব মেশিন"
এবার উপজেলায় প্রায় ৫৭০ হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। এতে লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন সাড়ে ৪ হাজার কৃষক। হেক্টরের পর হেক্টর জমিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের তদারকি, রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারও টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ১২ মাস বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। আর এই উৎপাদিত সবজি সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
দেশের সবজি চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছেন সীতাকুণ্ডের কৃষকরা। ক্ষেত থেকে টমেটো তুলতে কর্মচারীর খরচও উঠাতে পারছেন না চাষিরা। বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে টমেটো ফেলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে। বিক্রি করতে না পেরে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য কৃষকের টমেটো। প্রক্রিয়াজাতকরণ বা সংরক্ষণের উপায় না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের টমেটো চাষিরা।
আলুর মতো প্রক্রিয়াকরণের কোনো ব্যবস্থা থাকলে কৃষকদের এ ক্ষতি এড়ানো যেতো বলে মনে করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুলল্ল্যাহ।
এবি