র্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা।
কুমিল্লায় ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র্যাব-১১-এর পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা। গতকাল বুধবার কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব-১১ এর সিপিসি-২ কার্যালয়ে শিশু হত্যায় জড়িত মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এই র্যাব কর্মকর্তা।
গত সোমবার (২৯ এপ্রিল) কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত মফিজুল ইসলাম মফু সদর দক্ষিণ উপজেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
আরও পড়ুন : সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ পরিচালক তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, গত ২৯ এপ্রিল সকালে মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু বেলা ১১টা পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় স্কুলে যান তার মা। সেখানে মেয়ের কোনো হদিস না পেয়ে ফেরার পথে মেয়ের সহপাঠীর কাছে জানতে পারেন সে স্কুল শেষে বাড়ি চলে গেছে। বিকেলে বাড়ির অদূরে ধানক্ষেতে একটি মরদেহ পড়ে আছে বলে তিনি জানতে পারেন। সেখানে গিয়ে তিনি তার মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, মফিজুল ইসলাম মফুকে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা বাঁশঝাড়ের ভেতর থেকে দ্রুত রাস্তায় উঠে আসতে দেখা গেছে। ঘটনার পর র্যাবের ছায়া তদন্ত শুরু হয়। পরে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন ফেরুয়া বাজার এলাকা থেকে মফিজুল ইসলাম মফুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মফিজুল ইসলাম মফুকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, শিশুটিকে সে চিনত। এই সুযোগে ২৯ এপ্রিল সকালে ঘটনাস্থলের পাশের রাস্তায় ওত পেতে থাকে। শিশুটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলে মফু তাকে রাস্তার পাশের ধানি জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো নড়াচড়া দেখতে না পেয়ে মেয়েটির কানে থাকা দুল ছিঁড়ে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে মফু।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় মামলা করলে মফিজুল ইসলাম মফু চাঁদপুরে পালিয়ে যায়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এম হাসান