ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

পালিয়ে আসা ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিলো মিয়ানমার 

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৫ এপ্রিল ২০২৪; আপডেট: ১১:৩৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পালিয়ে আসা ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের ফেরত নিলো মিয়ানমার 

মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর  ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ

বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলায় প্রাণ ভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর  ২৮৮ সদস্যকে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় কক্সবাজার নুনিয়ারছড়া বিআইডাব্লিউটিএ জেটি ঘাঁটে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়।

হস্তান্তরের সময় মিয়ানমার থেকে বুধবার আসা প্রতিনিধিরা ছাড়াও ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তাসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্টমন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন, বিজিবি, পুলিশ ও  কোস্ট গার্ডের পদস্থ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।

তবে এবারে হস্তান্তর কার্যক্রম স্থলে সাংবাদিকদের প্রবেশ ছিলো সংরক্ষিত। এমনকি গণমাধ্যমের সাথে কথাও বলেননি কোনো কর্মকর্তা। 

ভোর সাড়ে ৪ টায় নাইক্ষ্যংছড়ির বিজিবি স্কুল থেকে ২৮৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বহনকারী ১০টি বাস রওনা দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশ্য। যেখানে ছিলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৬১ সদস্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য এবং ইমেগ্রেশনের  ৩ কর্মকর্তা। এছাড়াও গেলো ফেব্রুয়ারিতে আসা ৩ সদস্যও আছেন, যারা অসুস্থতার কারণে গেলোবার ফিরতে পারেননি।

এরপর ভোর সাড়ে ৫টায় কক্সবাজার শহরের বিআইডাব্লিউটিএ ঘাঁটে আনার পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে নৌবাহিনীর টাগ বোট কর্ণফুলী করে রওনা দেয় গভীর সমুদ্রে। সেখানে অপেক্ষামান মিয়ানমারের জাহাজ চীন ডুইন করে রওনা দেবে মিয়ানমারে সিতওয়ে বন্দরের উদ্দেশ্যে।

মূলত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১৭৩ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের জলসীমায় আসে মিয়ানমারের চিন ডুইন জাহাজ। চিন ডুইন জাহাজ থেকে বাংলাদেশি জাহাজ ' কর্ণফুলী টাগ-১' জাহাজে করে কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে নিয়ে আসা হয়েছিলো তাদের। একই প্রক্রিয়ায় এসব জাহাজের স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিরে গেলেন মিয়ানমারের এই ২৮৮ নাগরিক।

ফিরে যাওয়াদের মধ্যে গেলো ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অনুপ্রবেশ করে মিয়ামারের জান্তা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৭৭ সদস্য। পরে দফায় দফায় নাইক্ষংছড়ি  ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আরো ১১১ জন অনুপ্রবেশ করেছিল। মোট ২৮৫ জনকে রাখা হয় নাইক্ষংছড়ির বিজিবি স্কুলে। 

গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো হয়েছিলো আরো ৩৩০ জনকে। সর্বমোট ৬১৮ জন মিয়ানমারের নাগরিককে ফেরত পাঠালো বাংলাদেশ।

তাসমিম

×