ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

তীব্র গরমে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট গ্রামাঞ্চলের মানুষ 

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ২২ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র গরমে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট গ্রামাঞ্চলের মানুষ 

গ্রামাঞ্চলে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং

বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর ওপর দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে লোডশেডিং। জেলা শহরে সহনীয় হলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ থাকছে না ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৈশাখের মাঝামাঝিতেও নেই বৃষ্টির দেখা। প্রখর রোদের দাপটে তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। তার ওপর লোডশেডিং বাড়িয়েছে দুর্ভোগের মাত্রা।

আরও পড়ুন : গাছের সঙ্গে ধাক্কায় বাসের ছাদ হাওয়া, যাত্রী নিহত

গত দুই সপ্তাহ ধরে লক্ষ্মীপুরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। গরমে অস্বস্তির পাশাপাশি বিঘ্ন হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কল কারখানার উৎপাদন।

লক্ষ্মীপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বিদ্যুৎ যদি এক ঘণ্টা থাকে তাহলে পরের দুই থেকে তিন ঘণ্টা থাকে না। প্রচন্ড গরমে জীবন অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এই ভাবে বিদ্যুৎ না থাকলে জমিতে সেচের পানি সরবরাহে অনেক সমস্যা হয়।

গরমে চাহিদা বাড়লেও, বাড়েনি বিদ্যুতের সরবরাহ। এতে বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।

লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘এখানে বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। ঈদের আগে ২০ রমজানের পর এখানে আমরা পেয়েছি কখনো ৭০ আবার কখনো ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে বর্তমানে ৯০ আবার কখনো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি আমরা।’

ফেনীতে লোডশেডিংয়ে শহরের চেয়ে অতিষ্ঠ গ্রামের মানুষ। দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হচ্ছে তাদের।

এলাকাবাসী বলছে, দিন বা রাত কোনো সময়েই বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রচন্ড গরমে লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুমানোর কোনো সুযোগ নেই।

জেলার ছয়টি উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৭০ থেকে ৭২ মেগাওয়াট। সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে অর্ধেকের কম।

এদিকে জামালপুরে পিডিবির লোডশেডিং সহনীয় থাকলেও পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং অসহনীয়। দুর্গম চরাঞ্চলে দিনের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টায় থাকে না বিদ্যুৎ।


জামালপুর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজালাল নির্ঝর জানান, ‘আমার ১৭০ মেগাওয়াটের বিপরীতে সবসময় দেখা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ লোডশেড করতে হচ্ছে। সেই হিসেবে আমরা কখনো ৮০, কখনো ৯০ আবার কখনো ১০০ এর ওপরে বিদ্যুৎ পাই। আমরা যেহেতু গ্রিড থেকে ১৩২ কেভি লেভেলে বিদ্যুৎ নেই। তারপরে ৩৩ কেভি লেভেলে আমাদের উপকেন্দ্রের মাধ্যমে সেটি গ্রাহক প্রান্তে পৌঁছায়। এই কারণে গ্রিডে যদি উৎপাদন কম থাকে। তাহলে আমাদের করার কিছু থাকে না বাধ্য হয়ে লোডশেড করতে হয়।’

জামালপুরের সাত উপজেলাসহ কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ৭ লাখ ১৫ হাজার। এসব এলাকায় ১৭০ মেগাওয়াটের বিপরীতে মিলছে ৮০ থেকে ১০০ মেগাওয়াট।

এবি 

সম্পর্কিত বিষয়:

×