ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১

মৃত ব্যক্তিসহ পিতা-পুত্রের নামে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা!

৬ বছর আগে মারা গিয়েও হলেন ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ধামরাই, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

৬ বছর আগে মারা গিয়েও হলেন ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামি

পিতা-পুত্রকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করা হয়েছে 

ঢাকার ধামরাইয়ে ৬ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিসহ পিতা-পুত্রকে আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল আদালতে এই মামলাটি দায়রে করেন উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাস পট্টি গ্রামের বকুল আক্তার নামে এক গার্মেন্টস কর্মী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাস পট্টি গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মৃত ব্যক্তিসহ পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন বকুল আক্তার। আসামী ও তাদের পরিবারকে হেয় করতেই গার্মেন্টস কর্মীকে দিয়ে এ মামলা করিয়েছে এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩-০৩-২০২৪ তারিখে ধামরাই থানার কালিদাসপট্টি গ্রামে মনির হোসেনের স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মী বকুল আক্তার কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে একই এলাকার অটোচালক খোরশেদ আলম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মামলার এজাহারে তিনি এক মৃত ব্যক্তিসহ অপর দুজনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ করেছেন। এজাহারে মৃত হোসেনের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৪৭ বছর। অথচ ৬ বছর আগেই মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৭৮ বছর। 

অপর আসামী আলীমুদ্দিনের বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ৪৫ বছর অথচ তার বয়স ৬৮ বছর। আলীমুদ্দিনের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি কাউন্টার মামলায় যারা সাক্ষী এ মামলায়ও তারাই সাক্ষী।

মামলার বাদী গার্মেন্টস কর্মী বকুল আক্তারের কাছে মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি তো যা করার তা তো কইরেই আইছি এখন আমি কেইচ করছি যা হবার হইব, আমি কেইচে যা লেখছি ঐই টাই সঠিক"।

পূর্বে প্রকৃত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বকুল আক্তার নিজেই মিডিয়া কর্মীদের সামনে এক ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন, খোরশেদ  তার হাত ধরে অটোতে উঠালে প্রতিবাদ করে অটো থেকে নেমে যাই। এছাড়া আর কিছু করেনি, এমনটি উল্লেখ করেছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মামলার যা আছে তাই সঠিক এটা জানিয়ে ফোন কেটে দেয়।

মামলার আসামি আলীমুদ্দিন (৬৮) বলেন,এই বয়সে এসে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী করেছে , লজ্জায় আমি পরিবার আত্মীয় স্বজন ও সমাজের কাছে মুখ দেখাতে পারছি না। শুধু তাই নয় আমার মৃত বড় ভাই ও আমার ছেলে সোহেল (২৫) কেও মামলার আসামি করেছে এটা আমার পরিবারের জন্য খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মৃত ব্যক্তিকে আসামি করার বিষয়ে তদন্তে সত্যতা পেলে আদালতে সেভাবেই প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

 এবি

×