ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

গুমানী নদীতে অবৈধ মাটি কাটার মহোৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর (পাবনা)

প্রকাশিত: ১৩:০১, ৬ এপ্রিল ২০২৪

গুমানী নদীতে অবৈধ মাটি কাটার মহোৎসব

চাটমোহরে গুমানী নদীতে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে দিন-রাত মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার মাটিখেকো চক্রের কালো থাবার শিকার গুমানী নদী। চাটমোহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শুকিয়ে যাওয়া গুমানী নদীতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনরুপ পদক্ষেপ নেই। নদী থেকে মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটাগুলোতে। 

অনবরত মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়েছে। তেমনি দিনে ও রাতে মাটি বোঝাই ডাম্পট্রাক ও স্থানীয় কুত্তাগাড়ি চলাচল করায় এলাকার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গুমানী নদী থেকে দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।

সরেজমিন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিমাইচড়া ইউনিয়নের দুইজন নির্বাচিত মেম্বর নায়েব আলী ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন গুমানী নদীর নিমাইচড়া পশ্চিমপাড়া, ধানকুনিয়া মন্ডলবাড়ি ও মির্জাপুর এলাকায় দিনে-রাতে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। স্থানীয় এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় এই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে বলে জানালেন এলাকাবাসী। তবে এই দুই মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

গুমানী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ‘চলনবিল রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠণ ইতিমধ্যেই পাবনা জেলা প্রশাসক, চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখি অভিযোগ দিয়েছে। কিন্তু এখনো প্রতিকার মেলেনি। বরং মাটি কাটা আরো বেড়েই চলছে। 

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব,বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান বলেন, গুমানী নদীতে মাটি কাটা বন্ধের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি। বরং গুমানী নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। ফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন দিয়ে কথা বলেছি। দেখা যাক কি হয়।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম বলেন, নদীর মাটি কাটা অপরাধ। নদী থেকে মাটি কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। 

 এসআর

×