রাজউকের অভিযান চলাকালে ‘সুলতানস ডাইন’ ও ‘নবাবী ভোজ’ রেস্টুরেন্ট সিলগালা করা হয়
রাজধানীর রেস্তোরাঁগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে অভিযান শুরুর দ্বিতীয় দিনেই কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। অভিযানের খবর পেয়েই পালিয়ে যায় রেস্তোরাঁগুলোর লোকজন। মঙ্গলবার রাজউক, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের চালানো অভিযানের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল, বেইলি রোডের বহুল আলোচিত সুলতান’স ডাইন ও নবাবী ভোজ সিলগালা করা। খিলগাঁওয়ে কয়েকটি রেস্তোরাঁ বন্ধ করা হলেও কাউকে আটক করা হয়নি।
পুলিশ ডেমরা এলাকাতেও অভিযান চালিয়ে বন্ধ করেছে বেশ ক’টি রেস্তোরাঁ। বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকা-ের পরও এ অভিযান চালানো হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোমবার থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মোট ৫৬২টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে অতিঝুঁকির ছিল ১০৪টি। এতে মামলা করা হয়েছে ৫টি।
রেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে বহুল আলোচিত ‘সুলতানস ডাইন’ রেস্তোরাঁটি সিলগালা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার।এর আগে, অভিযান পরিচালনাকারী দলটি বেইলি রোডের সুলতানস ডাইন পরিদর্শনে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, রেস্টুরেন্টটি বন্ধ রয়েছে।
সেখানে এক নোটিসে লেখা ছিল, রেনোভেশন কাজের জন্য সাময়িকভাবে সুলতানস ডাইন বন্ধ রয়েছে। পরে বন্ধ থাকা রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করে দেয় রাজউক। এর আগে, সকালে বেইলি রোডের বন্ধ থাকা নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। সিলগালার সময় রেস্টুরেন্টটির মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুইতলা একটি ভবনের নিচতলায় নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁটি অবস্থিত। ভবনটির ওপরের তলায় পোশাকের শো রুম আছে।
এ সময় সুলতানস ডাইনের বিষয়ে রাজউকের কর্মকর্তারা বলেন, রেস্তোরাঁটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তবে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের সব কাগজপত্র আছে। তাই আপাতত রেসেন্তরাঁটি সিলগালা করা হয়েছে। কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ অভিযানে ক্যাপটাল সিরাজ সেন্টার নামের একটি ভবনের অগ্নিসুরক্ষার ছাড়পত্র হালনাগাদ না করায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার ভবনটির পরিচালক সারফুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সবকিছু ঠিক আছে। শুধু ফায়ারের ছাড়পত্র এখনো পাইনি।
এ সময়বেইলি রোডের অভিশপ্ত গ্রিন কোজি কটেজের দোকান মালিকরা সাংবাদিকরদের কাছে অভিযোগ করেন, তারা দোকান কেনার পরও তাদেরকে মালিকানার সব কর্তৃত্ব দেয়া হয়নি কখনোই। ওই ভবনটির সার্ভিস প্রদানের অজুহাতে নিয়মিত চাঁদা ও ফি আদায় করেছে আমিন মোহাম্মদ প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস নামের প্রতিষ্ঠান।
পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত বিপুল ওই ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেরই ম্যানেজার। রিমান্ডে থাকাবস্থায় তার কাছ থেকে গগুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রমনা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে একটি দোকানের মালিক উম্মে সালমা হাশমী অভিযোগ বলেন, এখন যে ভাবে অভিযান চালানো হচ্ছে তাতে সাধারণত দোকানিরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। যেমন, গ্রিন কোজি কটেজটি ২০০৯ সালে নির্মিত হলেও দোকানদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয় অনেক পরে।
সব দোকান বন্ধ করার পরও ভবনটি সার্বিক দেখাশোনা ও বিভিন্ন সেবা দেয়ার অজুহাতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণে ছিল আমিন মোহাম্মদ ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস। তাদের হাতেই জিম্মি ছিল ফ্ল্যাট মালিকরা। তাদের সঙ্গে চুক্তি ছিল, সার্ভিস প্রভাইডার হিসেবে তারা কমন স্পেশের লাইট বাল্ব, অগ্নি নির্বাপণ, প্লাম্বিং, সব ধরনের সেবা নিশ্চিত কর।’ এ জন্য তারা ৯ বছরে কোটি কোটি টাকা চাঁদা তুলে আত্মসাৎ করেছে।
চুক্তি মোতাবেক তারা কিন্তু সেই সার্ভিস দেয়নি। যেমন জরুরি নির্গমন সিঁড়ি কখনোই ব্যবহারের উপয্ক্তু না রাখা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র কোথায় রাখতে হবে, কারা কিভাবে সেটা ব্যবহার করবে, পানির ব্যবস্থা কোথায় থাকবে, সিলিন্ডার ব্যবহারের গাইডলাইন এ ধরনের কোন সার্ভিসই তারা দেয়নি। অথচ এগুলো দেখভালের জন্য প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের সার্ভিস চার্জ আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে আগুনের ক্ষয়ক্ষতি এত ভয়াবহ হয়েছে। এর দায় তো তাদেরই নিতে হবে।
দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকি সড়কে আবাসিক ভবনে রেস্তোরাঁ ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় অভিযান চালাতে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু অভিযানের আগাম খবর পেয়ে ফটকে তালা দিয়ে আগেই পালিয়ে যান রেস্তোরাঁটির কর্মীরা। পরে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা না নিয়েই চলে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
খিলগাঁও এলাকায় এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকার অন্য রেস্তোরাঁগুলোও তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেগুলো খোলা ছিল সেগুলোতে গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় দেখা যায়-খিলগাঁওয়ের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর ফটকে তালা লাগানো।
ফটকে একটি ছোট ব্যানার টাঙানো। সেখানে লেখা ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ; আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে শহীদ বাকি সড়কের একটি সাততলা আবাসিক ভবনে পাঁচটি রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠায় ভবনটি সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ভবনটিতে সরু সিঁড়িসহ অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি ছিল।
এ এলাকায় অভিযানের শুরুতে খিলগাঁওয়ের শহীদ বাকী সড়কের সি ব্লকের ৫৬৬/এ ভবনের দ্বিতীয় তলায় শর্মা কিং রেস্তোরাঁয় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক বা ব্যবস্থাপক ছিলেন না। তাদের মোবাইলে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়া রেস্তোরাঁর কর্মীরাও কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। দুপুর ১২টায় এই রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে একই ভবনের তৃতীয় তলায় পাস্তা ক্লাব নামে আরেকটি রেস্তোরাঁয় ঢোকেন আদালত অভিযানে অংশগ্রহণকারীরা। এর মালিককে পাননি ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ভবনের সামনে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযাযী এই ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিরা।
পরে সাততলা এ ভবনটি সিলগালা করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। সরেজমিন এই ভবনের প্রতিটি তলায় একটি করে রেস্টুরেন্ট দেখা গেছে। নিচতলায় ছিল একটি গার্মেন্টসের শোরুম। আর পার্কিংয়ের জায়গায় একটি রেস্টুরেন্টে নির্মাণকাজ চলতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিঝুঁকি থাকায় ভবনটি আপাতত বন্ধ থাকবে। ভবন মালিক এবং সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁর মালিকরা সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারলে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়ে খিলগাঁও এলাকার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ এদিন সকাল থেকেই খোলেনি। তারা জানান, খিলগাঁওয়ে গড়ে ৯০ শতাংশ রে¯েতারাঁ আবাসিক বাসাবাড়িতে গড়ে উঠেছে। ফলে এলাকাটি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য হারিয়েছে, যা রাজউকের আইন অনুযায়ী অবৈধ।
সি ব্লকের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, বেইলি রোডে অগ্নিকান্ডের পর সোমবার ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকার চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালানো হবে, ব্যবসায়ীরা তা আগে থেকেই জানতে পেরেছেন। ফলে সকাল থেকে তেমন কোনো রেস্তোরাঁই খোলেনি। অথচ এই শহীদ বাকি সড়কে শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। ভরদুপুরেও এই সড়কের অন্যান্য রেস্তোরাঁও বন্ধ দেখা যায়। এসব বন্ধ রেস্তোরাঁ যেসব ভবনে অবস্থিত, সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তবে দিনব্যাপী খিলগাঁও এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোয় অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও দুপুর একটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান বন্ধ করতে বাধ্য হয়। কারণ, এদিনে কোনো রেস্টুরেন্ট মালিক কিংবা তাদের পক্ষের কোনো প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল না। ফলে আভিযানিক দলকে রেস্টুরেন্ট তদারকি থেকে ফিরে আসতে হয়।
প্রথম দফা মুলতবির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দ্বিতীয় দফা অভিযান পরিচালনার জন্য খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ায় অবস্থিত ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে যান সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সেখানে কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে চলে যায়। সাইন বোর্ডে লেখা- ‘রেস্টুরেন্টের উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ, আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ।
অভিযান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে খিলগাঁও এলাকার অভিযানে এসেছিলাম। আমরা একটি ভবনে অভিযানে ঢুকেছিলাম। সে খবর পেয়ে বাকিরা সবাই সকাল থেকে রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছে। তারা রেস্টুরেন্টগুলোর সামনে ‘উন্নয়ন কাজের জন্য রেস্টুরেন্ট আপাতত বন্ধ আছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকায় আমরা খিলগাঁও এলাকায় আজ আর অভিযান পরিচালনা করতে পারছি না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরাও অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অগ্নিকা-ের ঝুঁকিপূর্ণ নাইটিং স্কাই ভিউ ভবনে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়। যেসব ভবনকে অগ্নিকা-ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস থেকে নোটিস দেওয়া হচ্ছে, সেসব ভবনের দৃশ্যমান স্থানে ঝুঁকিপূর্ণের নোটিস টাঙানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই মোতাবেক অগ্নিকা-ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দৃশ্যমান স্থানে নোটিস টাঙায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অভিযানের শুরুতেই স্কাই ভিউ নাইটেঙ্গল টাওয়ার নামে ৮তলা রেস্টুরেন্ট ভবন পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখানে তারা দেখতে পান ৩ মিটার সিঁড়ির বদলে সেখানে রয়েছে ৩ ফিট সিঁড়ি সঙ্গে রয়েছে ছোট্ট একটি লিফট। ভবনটিতে কোনো ফায়ার এস্টিংগুইসার দেখা যায়নি। অভিযানের খবরে ভবনের দু-একটি রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও বাকিগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
রুফটপ ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় পুরো ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে অভিযানিক দল। সেখানে ‘অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন ২০০৩ অনুযায়ী এই ভবনটি অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো’ লেখা একটি প্ল্যাকাার্ডও ঝুলিয়ে দেন অভিযানকারীরা। অভিযানিক দলের গাড়ি দেখে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি থাকা খিলগাঁও এলাকার দোকানগুলোর মালিকরা ‘ওই শাটার নামা’, ‘শাটার নামা’ বলে কর্মীদের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেন। কর্মীরাও সেই নির্দেশ মেনে দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপর হুড়মুড় করে সবাই বেরিয়ে যান।
গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রাজউক। ভবনের নকশা ও অনুমোদনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে প্রতিষ্ঠানটি।