ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

কুয়াকাটায় হোটেল না পেয়ে বাসাবাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

কুয়াকাটায় হোটেল না পেয়ে বাসাবাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন পর্যটকরা

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা। 

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গে সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে চারদিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় আগমন ঘটেছে নানা বয়সী হাজার হাজার পর্যটকের। এতে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা সৈকতের প্রতিটি পয়েন্ট। অনেক আগেই বুকিং হয়ে গেছে আবাসিক হোটেল-মোটেল। আগেভাগে বুকিং না দিয়ে আসা পর্যটকরা হোটেল মোটেলে জায়গা না পেয়ে অবস্থান করছেন আশপাশের বাসাবাড়িতে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের মতো করে সৈকতে আনন্দ-উল্লাসে মাতেন পর্যটকরা। তরুণ-তরুণী ও মধ্যবয়সীরা নোনা পানিতে মেতেছেন গোসলে। আর পর্যটকদের আগমনে ব্যস্ততায় সময় কাটাচ্ছেন নানা পেশার ব্যবসায়ীরা।

খুলনা থেকে আসা রহমত নামের একজন বলেন, ‘পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। তবে হোটেলে রুম পাইনি। পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে আমরা রয়েছি।’

কুয়াকাটা পৌরসভার পাঞ্জুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল সুকানি বলেন, ‘আমার বাসা কুয়াকাটা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে। আমার থাকার পাশাপাশি অতিরিক্ত দুটি রুম রয়েছে। একটি রুম দুদিনের জন্য তিন হাজার টাকায় ভাড়া দিয়েছি। কুয়াকাটায় যখন অতিরিক্ত পর্যটক আসে তখন আমি বিভিন্ন ভাড়ায় রুম দুটি ভাড়া দিয়ে থাকি। গ্রামের পরিবেশে রুমগুলো কম ভাড়ায় পেয়ে পর্যটকরা অনেক খুশি থাকে।’

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যুক্ত হওয়ায় তিন চারদিনের টানা পর্যটকদের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। ১০ দিন আগে থেকেই হোটেলগুলো বুকিং হতে শুরু করেছে। আজ যারা হোটেল বুকিং না দিয়ে কুয়াকাটায় এসেছেন তারা কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, কুয়াকাটায় বর্তমানে ২০০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার পর্যটক। এর বাইরে অতিরিক্ত ভিড়ের সময়গুলোতে আশপাশের প্রায় পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৩০০ বাসাবাড়ি প্রস্তুত থাকে। সবমিলিয়ে ৩০ হাজার পর্যটক রাত্রিযাপন করার সুযোগ রয়েছে কুয়াকাটায়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘টানা ছুটিতে অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটেছে কুয়াকাটায়। যে কারণে আগে থেকেই ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম মোতায়েন রয়েছে। সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সাদা পোশাকে আমরা কাজ করছি।’

এম হাসান

সম্পর্কিত বিষয়:

×