হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আহত ব্যক্তি। ছবি: জনকণ্ঠ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পাগলা কুকুরে কামড়ে নারী ও শিশুসহ ১৬ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনর অবস্থ্যা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬ জন আহতের খবর পাওয়া যায়।
আহতদের মধ্যে হলেন, পৌর শহরের বীরহাটি গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল হালিম (৩৮), বামনা হাটা গ্রামের কোরবান শেখের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৩), ফসলান্দি গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আতিকুর রহমান (৩৮), পশ্চিম ভূঞাপুর গ্রামের সুজনের স্ত্রী লিলি বেগম (৩০), ফলদা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের কেরামত আলী (৬৫), আহত আইয়ুব আলী, স্কুলছাত্রী জুই খাতুন (৯), পৌরসভার বেতুয়া এলাকার আতোয়ার রহমানের স্ত্রী জহুরা (৫০) এবং নিকরাইল এলাকার মঈন উদ্দিনের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪৫)। বাকি আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পাগলা কুকুরটিকে নিয়ন্ত্রণ না করায় আহতদের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভ্যাকসিনসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত জহুরুল ইসলাম বলেন, ইবরাহীম খাঁ মাজারের কাছে একটি পাগলা কুকুর লাফ দিয়ে আমার উপর এসে পড়ে এবং পায়ে কামড়ে দেয়। এরপরই সেখানে থাকা আরো কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছে।
আহত উপজেলার কষ্টাপাড়া ফাজিল মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক আতিকুর রহমান বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে খোঁজ নিতে যাওয়ার সময়ই দৌড়ে এসে কুকুর কামড়ে দিয়েছে। পরে হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে এসে দেখি ভ্যাকসিন নেই। বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে এনে দিতে হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ইফাত ফারজানা জানান, কুকুরের আক্রমণে শিকার হয়ে ৯জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভ্যাকসিন সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে রোগীদের কিনে আনতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা নেই। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসআর