ধর্ষণ
রবিবার রাতে খুলনায় এক গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা লাগিয়ে এবং হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। প্রতিবেশীরা সোমবার ভোরের দিকে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গৃহবধূর ছেলে ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করেন। গতকাল রাতে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। পড়ালেখার জন্য ছেলে ও মেয়ে বাইরে থাকেন। গতকাল দুর্বৃত্তরা ঘরের পাশের গাছ বেয়ে ছাদে উঠে ওই বাড়িতে ঢোকে। আজ ওই নারীর গোঙানির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। এ সময় আঠা দিয়ে তাঁর চোখ ও মুখ লাগানো ছিল। তাঁর হাত ও পা বাঁধা ছিল। ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
ওই নারীর ছেলে বলেন, বাড়ি থেকে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। মায়ের চিকিৎসার জন্য তাঁরা এখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিৎসক সুমন রায় বলেন, এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে তাঁকে আজ সকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এই মুহূর্তে তাঁর মুখ ও চোখ রক্ষার জন্য অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, কী কারণে, কারা ওই নারীকে ধর্ষণ করেছে, ব্যাপারটি এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনো মামলা হয়নি।
এস