গত একসপ্তাহ ধরে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ও আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।
এতে সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামের লোকজন নিরাপদে আশ্রয় নেন। তবে গতকাল থেকে ঘুমধুম সীমান্ত অনেকটা শান্ত হওয়ায় ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া ২৮টি পরিবারের ১৪০ জন নিজ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।
তিনি বলেন, গতকাল এবং আজ বুধবার (৭ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক আছে। গোলাগুলির তেমন কোনো শব্দ শোনা যায়নি। গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলি।
এদিকে বুধবার সকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী তুমব্রু ও ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন।
এ সময় সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর শেষে ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন। পরে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন।