বরিশাল জেলা।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বেঞ্চে উঠে এক শিক্ষার্থীর বুকে লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়ার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জগদীশ ভক্তের সভাপতিত্বে অভিভাবক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষার্থীদের শতাধিক অভিভাবক সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নির্যাতিত জিৎ মল্লিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাড়ি পাশের গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পিরেরবাড়ি গ্রামে। সে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে মেসো পুলিন জয়ধরের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে। আর অভিযুক্ত হলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর।
সভায় শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে সবার সামনে দুঃখ প্রকাশ করেন।
সভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার জয়ধরের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, এজন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন বাড়ৈ বলেন, ‘সভায় উপস্থিত সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাকে বিকেলে অফিসে আসতে বলেছি। ওই ঘটনায় সার্চ কমিটি গঠন করার কথা শুনেছি।’
এর আগে, উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর নবম শ্রেণির ক্লাসে গিয়ে শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিকের বুকে লাথি মারেন। ক্লাসের সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলার অপরাধে প্রশান্ত কুমার ক্ষিপ্ত হয়ে জিৎ মল্লিকের বেঞ্চের ওপর উঠে চুল ধরে তার বুকে লাথি দেন বলে জানা যায়।
এম হাসান