ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

সিজারের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলল চিকিৎসক

সংবাদদাতা, তালতলী, বরগুনা

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪

সিজারের সময় নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলল চিকিৎসক

দোয়েল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

বরগুনার তালতলীতে দোয়েল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসূতিকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় নাবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধা ৭ টার দিকে উপজেলার হাসপাতালে পূর্ব পাশে দোয়েল ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। 

নবজাতকের বাবা ইব্রাহিম খলিল জানান, স্ত্রীর প্রসব বেদনা ওঠায় দোয়েল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার কিছু টেষ্ট দেয়। টেস্ট রির্পোট পেয়ে ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষ বলেন দ্রুত সিজার করাতে হবে। না হলে বাচ্চা বাঁচানো যাবে না। পরে দোয়েল ক্লিনিকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ১৮ হাজার টাকায় চুক্তি করেন যে একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনকে দিয়ে করাবেন। সেই অনুয়ায়ী ক্লিনিকের সকল নিয়ম মেনে তার স্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়। পরে সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে কর্তবরত চিকিৎস রুনা রহমান সিজার করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপারেশন থিয়েটারে রেখে সিজার করা হয়। এ সময় নাবজাতকের পিঠ কেটে ফেলেন ঐ ডাক্তার। এর কিছুক্ষণ পরে নাবজাতককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

প্রসূতির স্বামী ইব্রাহিম খলিলের অভিযোগ, তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে প্রায় দেড় ঘণ্টা রেখে সিজার করেন ও মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। তবে ডাক্তারের ভুলে আমার মেয়ের পিঠ কেটে ফেলে আমাদের কাছে দেয়। তবে আমাদের কাছে কিছু বলেনি যে পিঠ কেটে ফেলেছে। বাচ্চা কান্নাকাটি করার পরে দেখি পিঠের ওখানে অনেকখানি কেটে গেছে। বাচ্চা বেডে দেওয়ার সময় কেউ কিছু বলেনি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

 এ বিষয়ে জানতে দোয়েল ক্লিনিকের মালিক রাসেল মিয়াফোনে একাধিকবার কল দিলেও ফোন ধরেনি। এছাড়াও চিকিৎসক রুনা রহমানের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। 

তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প.প কর্মকর্তা ড. সুমন পোদ্দার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনার সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বলেন, ‘নবজাতকের পিঠ কেটে ফেলার খবর পাওয়ার পর আমি সরেজমিন তদন্তে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পপ কর্মকর্তা এবং আরএমও কে নির্দেশ দিয়েছি। ওই চিকিৎসকের গাফেলতি ছিল কিনা, তার চিকিৎসার অনুমতিসহ কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা বা ক্লিনিকটি বৈধ কিনা সব যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তালতলী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ক্লিনিকে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গা ঢাকা দিয়েছে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
 

 

এম হাসান

×