নেতা-কর্মী আহত
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের নৌকা প্রতীকের আনন্দ মিছিলকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অনন্ত ২০জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমল্পেক্সে ও গুরুতর আহতদের মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, আনন্দবাস গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদোস আলী (৫০), আল মাজুল মোল্লার ছেলে আকাশ (২৫), মৃত বক্স বিশ্বাসের ছেলে টুকু বিশ্বাস (৪০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাসিব (১৩), আলতাব হোসেনের ছেলে অন্তর (১৬), ফজলু মোল্লার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), মৃত জিরোত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মৃত ওসমানের ছেলে আয়াত আলী (৪৫), নঈমুদ্দীন মোল্লার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৫৯), আয়ূব হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩৫), ওয়াজ কুরুনির ছেলে পিয়াস (২৫), মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী ইয়াছিন (৫০) সহ আরো বেশ কয়েকজন নৌকা প্রার্থীর কর্মী সমর্থক আহত হয়। অন্যদিকে সতন্ত্র প্রার্থীর বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক আহত হয়।
আরও পড়ুন : নতুন সংসদ সদস্যদের শপথগ্রহণ বৃহস্পতিবার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিজয় হওয়াতে আনন্দবাস গ্রামে কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকে কর্মী সমর্থকরা। নৌকা প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে এলাকার মানুষ। এসময় সতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় নৌকা প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা।
এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন কর্মী সমর্থকেরা আহত হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলীসহ ৪ জন কর্মীর অবস্থা গুরুতর হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম। উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাসমিম