ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

রংপুরের তিন নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নৌকা থাকলেই উন্নয়ন

বিশেষ প্রতিনিধি/ নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর

প্রকাশিত: ২৩:১০, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

নৌকা থাকলেই উন্নয়ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পীরগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান

সিলেটের পর এবার উত্তরবঙ্গের রংপুরে গিয়ে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তুললেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। রংপুরের তারাগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুরে দলের তিনটি বিশাল নির্বাচনী জনসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকায়’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এই নৌকা জনগণকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ দেবে। এই নৌকা স্বাধীনতা এনেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছে, এই নৌকা আমাদের একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ দেবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভোটারদের সকলকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সকালে উঠে  ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগেরও আহ্বান জানান। 
মঙ্গলবার ঢাকা থেকে রংপুরে পৌঁছে প্রথমে তারাগঞ্জ ওয়াকফ স্টেট সরকারি কলেজ মাঠে রংপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে, পরে তাঁর শ্বশুরবাড়ি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে এবং সবশেষ মিঠাপুকুর জায়গীরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলের প্রার্থী রাশেক রহমানকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে তিনটি বিশাল নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত লাখ লাখ মানুষকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রংপুরের পুত্রবধূ শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দরকার। 
নূহ নবীর নৌকা মানবজাতিকে মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা করেছিল, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে, অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে। এই নৌকাই দেবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। কাজেই আপনাদের কাছে আমার এটাই আবেদন- আমি আপনাদের এলাকার পুত্রবধূ। এ সময় রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় প্রধানমন্ত্রী দুটি জনসভায় উপস্থিত লাখ লাখ মানুষকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কী বাহে, একখান ভোট মুই পামু না, একখান ভোট হামাক দেবেন না?’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় সকলের ওয়াদা চাইলে উপস্থিত জনতা সমস্বরে  দু’হাত তুলে নৌকার গগনবিদারী স্লোগান দিয়ে ভোট প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশের উন্নয়ন করেছে। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে দেশের সম্পদ লুট করেছে। তারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাদের নেতারা সম্পদশালী হয়েছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে। জনগণের জন্য কিছু করেনি। 
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে  সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন এবং তারপর সড়কপথে কোনো প্রটোকল ছাড়াই পতাকাবিহীন ব্যক্তিগত গাড়িতে এই তিনটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারাগঞ্জের জনসভা শেষে পীরগঞ্জে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর শ্বশুরবাড়ি ফতেহপুরে তাঁর স্বামী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কবর জিয়ারত করেন এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সেখানেই তিনি দুপুরের খাবার খান।
রংবেরঙের পোশাকে হাজার হাজার মানুষের ঢলে তিনটি নির্বাচনী জনসভায় বিশাল জনসভায় রূপ নেয়। প্রধানমন্ত্রীর রংপুরে আগমন উপলক্ষে প্রতিটি উপজেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নির্বাচনী উৎসবের আমেজে জনসভায় যোগ দিয়ে পুত্রবধূর বক্তব্যে শোনেন। সিলেটের মতো রংপুরের এই তিনটি নির্বাচনী জনসভার মঞ্চেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোটকন্যা শেখ রেহানাও। 
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও নির্বাচনী জনসভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য লুৎফা ডালিয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান, বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহীমসহ রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ। 
পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই আসনের দলের প্রার্থী জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে নিজের কন্যা আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে আমার মেয়েকে আপনাদের  দিয়ে গেলাম। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁকে জয়যুক্ত করা মানে আমাকে ভোট দেওয়া, জয়কে (ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়) ভোট দেওয়া, সে জয়ের বোন। পুতুলের (কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) বোন। তাঁকে ভোট দেওয়া। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ইনশাআল্লাহ নৌকা জিতলে তিনি আবারও আসবেন, এখানে জনসভা করবেন এবং বাদবাকি উন্নয়নকাজগুলোও সম্পন্ন হবে।
তারাগঞ্জের নির্বাচনী জনসভায় দলের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককেও তাঁর পুত্রসম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁকে বিজয়ী করতে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপস্থিত লাখো মানুষের উদ্দেশ করে বলেন, আপনাদের (ভোটারদের) সকলের কাছে আমার অনুরোধ, এই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সকল ভোটার দয়া করে সকালে উঠে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে যাবেন।
দিনব্যাপী নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নৌকা হচ্ছে নবী হযরত নূহ (আ.) এর নৌকার প্রতীক, যা মহাপ্রলয়ের সময় মানবজাতিকে রক্ষা করেছিল। এই নৌকা, যে নৌকায় আপনারা স্বাধীনতা পেয়েছেন এবং আপনাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করেছেন। আপনারা কি নৌকায় ভোট দেবেন?’ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিন, আপনারা হাত তুলুন। সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী, সাধারণ ভোটাররা দু’হাত তুলে এবং নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে তাদের সমর্থনের কথা জানান।
এসব নির্বাচনী জনসভায় গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অসংখ্য বাস্তবায়িত উন্নয়ন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত তিন নির্বাচনে জনগণ নৌকায় ভোট দিয়েছে বলেই সরকারের পক্ষে এটা সম্ভব হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কিছু উন্নয়ন কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। সকল মানুষ সুন্দর জীবন পাবে; আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে কেউ ভূমিহীন, ঠিকানাহীন ও অবহেলিত থাকবে না উল্লেখ করে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। সে কথা মাথায় রেখেই আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে চাই; নৌকা প্রতীক ক্ষমতায় থাকলেই এদেশের উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগজড়িত কন্ঠে তাঁর বাবা-মা, ভাইসহ সবাইকে হারানোর ব্যাথা- বেদনার কথা তুলে ধরে বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই, পাওয়ারও কিছু নেই। তবে, আপনি যদি ভালো থাকেন, তবেই আপনার জীবন সুন্দর হবে। আমার লক্ষ্য হলো আপনার (দেশবাসী) সন্তানরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সুন্দর জীবন পাবে।
সরকারপ্রধান বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই  দেশের উন্নয়ন হয়। দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করাই সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মা-বাবা, ভাইসহ সব স্বজনদের হারিয়েছি। সব  শোক-ব্যথা বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। লক্ষ্য একটাই, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। 
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কাই আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। তাই আরও একবার সুযোগ দেবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সময়কালে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরেন। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের পর বাংলার মানুষ ছিল অবহেলিত। তাদের মাথাপিছু আয় বাড়েনি। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে আমি এগিয়ে এসেছি।
উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা দূর করা হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করা হয়েছে। দুই বেলা খেতে পারবে সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা সেটা করতে পেরেছি। দেশকে আরও উন্নত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এজন্য কেবল নৌকা মার্কা থাকলেই  সেটা সম্ভব। আমার আর হারাবার-পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আপনারা ভালো থাকবেন সেটাই আমার লক্ষ্য। এ জন্য ৭ জানুয়ারি সকালে ঘুম  থেকে উঠেই আপনারা ভোট দিতে যাবেন।
সব শেষে মিঠাপুকুরের জায়গার হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রংপুর-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাশেক রহমানের বিশাল নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বলেন, দেশের একটি মানুষও ভূমি ও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে ঘর করে দেব। সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হবে। আমাদের দেশের মানুষ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে চলবে। সেভাবেই আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। 
সকালবেলা প্রচ- শীতের মধ্যেও নির্বাচনী জনসভায় যোগদানের জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সরকারপ্রধান বলেন, ১৫ আগস্ট মা-বাবা ভাইবোন সব হারিয়েছি। এই বাংলাদেশের মানুষই তো আমার পরিবার। এই বাংলাদেশের মানুষের জন্য আমার বাবা জীবন দিয়েছে। আমিও আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের সেবা করে যাবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে ২০১৩, ২০১৪ সালে কীভাবে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে ওই বিএনপি-জামায়াত। একটা সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য  তৈরি করেছিল তারা। আমরা কঠোর হাতে সেটা দমন করি। এই অঞ্চলে এখন শান্তি বিরাজমান।

সেটা একটাই কারণে, নৌকা মার্কা ক্ষমতায় এলে মানুষের শান্তি থাকে, জীবনের নিরাপত্তা থাকে, শিক্ষা ভালো থাকে। তাই আপনাদের কাছে আমার একটাই চাওয়া, আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করবেন। ২০৪১ সালে আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব। সেই কারণেই আপনাদের কাছে নৌকায় ভোট চাই। নৌকার প্রার্থী রাশেক এখানে প্রার্থী। তাঁর বাবা ছিল এখানে, আজকে তাঁকে দিয়েছে। যুব সমাজ তারুণ্য সম্পদ। কাজেই আপনারা তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।

×