ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

পিরোজপুর-২ আসন

গুরু-শিষ্যের লড়াই

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

গুরু-শিষ্যের লড়াই

আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, মহিউদ্দিন মহারাজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসন থেকে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লড়বেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং শিষ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু মন্ত্রী থাকাকালে তার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন মহারাজ। বর্তমানে ওস্তাদ শিষ্যের লড়াই জমে উঠবে বলে পিরোজপুর-২ আসনের ভোটাররা মনে করছেন। এ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ৭ বার এমপি ছিলেন একাদশ নির্বাচনেও সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবারে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেভাগেই নৌকা প্রতীকের জোটের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। কারণ ভান্ডারিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে তার চাচাত ভাই সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে বিপুল ভোটে হেরে যায় এবং এ আসনে জেপির রাজনীতি কর্মী সংকটে ভোগে তাই এবার সাইকেল রেখে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পথ অনেকটাই সহজ হয়েছে। 
এ আসনে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ একমাত্র হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। তবে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তার শিষ্য মহিউদ্দিন মহারাজকে একেবারেই নরম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন না। তাই এই আসনে ওস্তাদ-শিষ্যের লড়াই ভালোই জমে উঠবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। 
পিরোজপুর-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ এক সময় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর। তিনি মঞ্জুকে গুরু মানতেন। এরপর পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হন তিনি। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর চাচাত ভাই ও জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মহিদুল ইসলাম মাহিম বলেন, জেপির সাংগঠনিক সংকট নেই। তবে আসন পুনর্বিন্যাস করায় ইন্দুরকানী বাদ দিয়ে স্বরূপকাঠি অন্তর্ভুক্ত করায় সংকটে পড়তে হয়েছে। ২ উপজেলার চেয়ে বেশি ভোটার স্বরূপকাঠিতে।

অথচ সেখানে সাইকেল ভোটারদের কাছে পরিচিত নয়। এ জন্য জেপি নৌকা নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থক ধাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সব ভোট সেন্টারে এজেন্ট দেওয়ার মতো কর্মী-সমর্থক খুঁজে পাবে না। আমাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন। আমরা সকলে তার বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছি।

×