ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ধূমপানবিরোধী দেয়াললিখন মুছে ফেললেন ’ধূমপায়ী’ শিক্ষক

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ধূমপানবিরোধী দেয়াললিখন মুছে ফেললেন ’ধূমপায়ী’ শিক্ষক

দেয়াললিখন মুছে ফেললেন শিক্ষক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরে পরিবেশবিদ জহির রায়হান দেয়াললিখন লিখেছিলেন। যেখানে লেখা ছিলো ‘প্রকৃত ভদ্রলোক সে-ই, যে ধূমপান থেকে বিরত থাকে’  কিন্তু তা পছন্দ হয়নি ওই বিদ্যালয়ের ধূমপায়ী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের। তাই লেখার পরদিনই তা মুছে দিয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, আল-কোরআনের বাণী, শেখ সাদির বাণীও মুছে দিয়েছেন তিনি।

পরিবেশবিদ জহির রায়হান বলেন, “ডেফলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সীমানাপ্রাচীরে আমি নিজের টাকা খরচ করে দেয়াললিখন করেছিলাম। এলাকার মানুষ ও শিক্ষার্থীসহ ওই সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের সচেতন করার জন্য। আমি আল কোরআনের বাণী, শেখ সাদির বাণী লিখেছিলাম। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন করতে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করে দেয়াললিখন লিখেছিলাম। সেই সঙ্গে লিখেছিলাম ‘প্রকৃত ভদ্রলোক সে-ই, যে ধূমপান থেকে বিরত থাকে’। যেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধূমপান থেকে দূরে থাকে।”


‘গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২ দিন ধরে আমি এসব লিখেছিলাম। কিন্তু তা পছন্দ হয়নি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আর স্থানীয় সার ব্যবসায়ী মুন্তাজের। তাই লেখার পরদিনই এসব মুছে দিয়েছেন,’ যোগ করেন রায়হান।


জহির রায়হান আরও বলেন, ‘ওই দেয়াললিখন লিখতে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা লাগত। কিন্তু আমি নিজের টাকা খরচ করে লিখে দিয়েছিলাম। খারাপ কিছু তো লিখিনি। কিন্তু ওনাদের পছন্দ হয়নি বলে মুছে দিয়েছেন।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক চেইন স্মোকার। তিনি প্রচুর ধূমপান করেন। এমনকি বিদ্যালয়ে বসেও ধূমপান করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে এমন দেয়াললিখন তার আত্মসম্মানে লেগেছে মনে হয়। কারণ, তিনি সিগারেট খান। তাই তিনি এসব মুছে দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘স্কুলের দেয়ালে কে কী লিখল তা আমার দেখার বিষয় না। আমরা স্কুল থেকে নিজস্ব ডিজাইন করব বলে মুছে দিয়েছি।’

 

এবি

সম্পর্কিত বিষয়:

×