
পেঁয়াজ
ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরই দেশে রাতারাতি বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। একই সঙ্গে একদিনের ব্যবধানে দেশি জাতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০০ টাকা পর্যন্ত। এদিকে পেঁয়াজের বাজারে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের দেখে দোকান বন্ধ করে পালাচ্ছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় বাজার বাহাদুর বাজারে এ চিত্র দেখা যায়। এদিকে আমদানি বন্ধ ঘোষণার পর দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলিতেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এদিন সকালে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় দুইটি ট্রাকে টেন্ডারকৃত ৬০ টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার খবর পাওয়া গেছে।
বাহাদুর বাজারের কয়েকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর কাছে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা একে একে দোকান বন্ধ করে চলে যান। এমনকি অনেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেও রাজি হয়নি।
এক খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে আড়তগুলোতে দাম বেড়েছে। আমরা যে দামে কিনেছি খরচ বাদে চার-পাঁচ টাকা লাভে বিক্রি করছি। আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।
শনিবার সকালে এই বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশি জাতের পেঁয়াজ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার আগে শুক্রবার সকালে এই বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি এবং দেশি জাতের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আমদানি হয় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর পরই স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত স্থলবন্দরে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৯০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আমদানি বন্ধের ঘোষণার পর শনিবার সকালে এই বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
হঠাৎ পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বাড়াতে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। তারা জানান, বার বার এমন হঠাৎ দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর বিষয়। আয় না বাড়লেও নিত্য পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে সাধারণ মানুষদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সময় দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানান তারা।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পর পরই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এস