আনন্দ উল্লাসে মেতেছে পর্যটকরা।
উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও আনন্দ উল্লাসে মেতেছে পর্যটকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে।
জানা যায়, পর্যটকরা শীতের শুরুর রোমাঞ্চকর পরিবেশ উপভোগ করতে এসে অনেকেই পড়েছেন বৈরী আবহাওয়ার কবলে। তবে সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় অনেক পর্যটকই মেতেছেন উল্লাসে। তবে সমুদ্রের বেশি গভীরে না যেতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মনিরুল হক ডাবলু বলেন, সাপ্তাহিক ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে অনেক পর্যটক এসেছেন। তবে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেওয়ায় আমরা তৎপর হচ্ছি।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমুহকে ৭ নম্বর, কক্সবাজার সমুদ্রে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিপদ সংকেত জানানো হয়।
এদিকে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে জানায় আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আগামীকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
এম হাসান