ইলিশা এলাকায় মেঘনার তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লক ধসে গেছে
ঢেউ ও তীব্র স্রোতে আবারও ইলিশা এলাকায় তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লক ধসে গেছে। সোমবার দুপুরের দিকে ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় ব্লক ধসে মেঘনায় ডুবে লাইজু (৩৮) নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শিশুসহ ৫ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটের দক্ষিণে তালতলি লঞ্চঘাটের কাছে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুরদিকে ইলিশা-রাজাপুর রক্ষা প্রকল্পের তীর সংরক্ষণের সিসি ব্লকের ৭০ মিটার দেবে যায়। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড ধস ঠেকাতে জিওব্যাগ ডাম্পিং করে। কিন্তু হঠাৎ করে সোমবার বেলা ১২ টার দিকে নতুন করে ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাছঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে সিসি ব্লক ধসে যায়। এ সময় ব্লকের ওপর থাকা শিশু ও নারীসহ ৪/৫জন নদীতে ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাকপ্রতিবন্ধী নারী লাইজু এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করতেন।
প্রতিদিনের মতো সোমবার দুপুরে ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকার মেঘনা নদীর সিসি ব্লকের পাড়ে জেলেদের কাছ থেকে খাওয়ার জন্য মাছ আনতে গিয়েছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ করে ঐ এলাকায় ব্লক ধসে যায়। এতে লাইজু ও এক শিশুসহ ৫ জন নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থলেই লাইজু বেগমের মৃত্যু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, ইলিশায় সিসি ব্লক ধসে কয়েকজন নদীতে পড়ে গেছে। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কুয়াকাটায় ভাঙন রোধে পরিকল্পনা
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী থেকে জানান, কুয়াকাটা সৈকতের ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন’ নামের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের ভাঙনপ্রবণ প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য ৭৫৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। সমুদ্র তীর প্রতিরক্ষা কাজের জন্য ৬৮টি গ্রোয়েন নির্মাণ, ট্যুরিজম পার্ক, মসজিদ-মন্দির এলাকার প্রতিরক্ষায় ৬০০ মিটার এলাকায় কাজ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সৈকতের ভাঙন রোধে এ প্রকল্পটির ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনের মতামতের আলোকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে। খালেদ বিন অলীদ জানান, পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পেলে আগামী বছরে ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের বাস্তবায়নে কাজ শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।