ময়মনসিংহের কেওয়াটখালিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মাণ করা হবে ৩২০ মিটার দীর্ঘ স্টীল আর্চ সেতু।
এই প্রকল্পের আওতায় সংযোগ সড়ক, ৬৭০ দশমিক ৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩টি সড়ক ওভারপাস, ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্যের ২টি রেল ওভারপাস, ৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ধীরগতির যানবাহনের (এসএমভিটি) পৃথক লেনসহ ৪ লেন মহাসড়ক, মূল সেতু সংলগ্ন একটি টোল প্লাজা ও একটি দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র সম্বলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ এবং প্রকল্পের আওতায় স্টীল আর্চ সেতুর মনিটরিং সিস্টেম ও সড়কের উভয় পার্শ্বে ইউটিলিটি ডাক্ট নির্মাণ করা হবে। সোমবার বিকেলে তেজগাঁও সড়ক ভবনে ময়মনসিংহে কেওয়াটখালি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় পূর্তকাজের প্যাকেজ নম্বর ডাব্লিউপি-১ এর জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়নার সিএসসিইসি ও বাংলাদেশের স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেড (এসইএল) এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক নূর-ই-আলম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পক্ষে অথরাইজড রিপ্রেজেন্টেটিভ সু ইয়ান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খান মোঃ আফতাবউদ্দিন, পরিচালক আরিফ খানসহ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
প্রকল্প সূত্র জানায়, চুক্তির আওতায় ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ৩২০ মিটার দীর্ঘ স্টীল-আর্চসহ ১১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পটির মোট ব্যয় তিন হাজার দুইশত তেষট্টি কোটি তেষট্টি লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি এক হাজার তিনশত তিপ্পান্ন কোটি তিরাশি লক্ষ টাকা ও প্রকল্প ঋণ এক হাজার নয়শত নয় কোটি উনআশি লক্ষ টাকা। সেতুটি ময়মনসিংহের কেওয়াটখালিতে বিদ্যমান রেলসেতুর সন্নিকটে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর নির্মিত হবে। স্টীল আর্চ সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ৩২০ মিটার ও প্রস্থ ৪২ দশমিক ১৫ মিটার। মূল সেতুর মোট স্প্যান সংখ্যা ২২টি। স্টীল আর্চ অংশের স্প্যান সংখ্যা ৩টি। মূল সেতুর পিয়ার সংখ্যা ২১টি। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ময়মনসিংহ জেলা সদরসহ নেত্রকোণা জেলার বিজয়পুর, শেরপুর জেলার নাকুগাঁও, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এবং জামালপুর জেলার ধানুয়া-কামালপুর এর মত গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকার নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সুনামগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের সাথে মূল মহাসড়ক নেটওয়ার্ক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও, বিদ্যমান শম্ভুগঞ্জ সেতুর যানজট নিরসনের পাশাপাশি এ অঞ্চলের ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
