শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
নারায়ণগঞ্জের সদর নিতাইগঞ্জ এলাকার একটি বাসায় র্যাব সদস্য ও এক নারী দগ্ধ হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তিতে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলেন- র্যাব সদস্য অভিজিৎ সিং (২৮) ও টুম্পা রানী দাস (২৮)। জানা যায়, অভিজিৎ র্যাব-১১ এর সদস্য।
দগ্ধ টুম্পা রানী দাসের ছেলে বিশাল চন্দ্র দাস ও দূরসম্পর্কের দেবর জনি দাসসহ স্বজনরা জানান, পরিবারটি নিতাইগঞ্জের একটি বাড়ির ৩য় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। টুম্পার স্বামী হরি কমল দুবাই প্রবাসী। দুই ছেলের মা টুম্পা। রাতে ফ্ল্যাটের একরুমে টুম্পার দুই ছেলে ও দেবর জনি দাস ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখেন, টুম্পা রানীর রুমে আগুন জ্বলছে। টুম্পা ও অভিজিতের শরীরেও আগুন। তখন তারা বাথরুম থেকে পানি এনে তাদের দুজনের শরীরে ঢালেন। এরপর ঘরের জিনিসপত্রে লাগা আগুনও নেভান।
দগ্ধদেরকে সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
তারা আরো জানান, র্যাব সদস্য অভিজিতের পরিবার ও টুম্পার পরিবার আগে পাশপাশি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তখন থেকে তাদের সাথে একটি পারিবারিক সম্পর্ক। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে অভিজিৎ তাদের বাসায় গিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে ওই বাসার ছাদে গিয়ে আড্ডা দিতেন তিনি। এছাড়া মাঝেমধ্যে ওই বাসায় গিয়ে টুম্পা রানীর ছেলে বিশালকে পড়াশুনা বুঝিয়ে দিতেন। তবে রাতে কীভাবে আগুন লেগেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তারা।
বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, অভিজিতের শরীরের ৯০ শতাংশ আর টুম্পার ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। অভিজিতকে আইসিইউ আর টুম্পাকে রাখা হয়েছে এইচডিইউ'তে। তাদের দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, অভিজিৎ র্যাব-১১ এর সদস্য। তবে এবিষয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এম হাসান