অবৈধ করাতকলে চেরাই করা হচ্ছে বনের কাঠ
বন বিভাগের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটহাজারীতে অবৈধ করাতকল ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকি ও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কোনো ধরনের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই বন বিভাগের যোগসাজশে ব্যাঙের ছাতার মতো যেখানে-ে সেখানে গড়ে উঠেছে অর্ধ শতাধিক করাতকল।
স্থানীয়রা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহাসড়ক ও বনের পাশে এভাবে লাইসেন্স ও ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ করাতকল গড়ে উঠেছে। আর বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ‘শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে। বন আইন অনুযায়ী বন বিভাগের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলার মির্জাপুর, হাটহাজারী সদর, ধলই, ফরহাদাবাদ, নাজিরহাট, ফতেপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক করাতকল গড়ে ওঠে। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় এ উপজেলায় করাতকলের ছড়াছড়ি। যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বনাঞ্চল। অবৈধ করাতকলগুলোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান না থাকায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।
করাতকলের মালিক পক্ষ বলছেন, মিল চালানোর জন্য কিছু কিছু দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। এরমধ্যে এক দপ্তর থেকে অনুমোদন পেলেও অন্য দপ্তর থেকে অনুমোদন দেয় না। এভাবেই চলছে করাতকলগুলো।
রেঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল কাদের বলেন, হাটহাজারীতে কিছু করাতকলের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। করাতকলের অনুমোদন থাকলেও মেয়াদ নেই এবং অবৈধ করাতকলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, করাতকল চালানোর কাগজপত্রের বৈধতা যাচাই বাছাই করা হবে এবং অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর থেকে জানান, মঠবাড়িয়ায় পৌর শহর ও ইউনিয়ন পর্যায় অবৈধ করাত (স’মিল) কলের ছড়াছড়ি। যত্রতত্র করাত কলের কারণে পরিবেশ নষ্ট হবার পাশাপাশি সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক করাত কল থাকলেও বর্তমানে ৮৭ টি সচল রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টির লাইসেন্স ও চারটির আবেদন রয়েছে।
উপজেলা বন কর্মকর্তা ফেরদৌস খান বলেন, ইতোমধ্যে ৮ টি করাত কল মালিকের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে গাছ কাটার দায়ে মাঝেরচর ইউনিটের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ুম জানান, ইতোমধ্যে করাতকল মালিক সবুজনগর গ্রামের হুমায়ূন কবির ও থানাপাড়া এলাকার লিটন মিয়াকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।