অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী পূর্ব টাট্রিউলী গ্রামে একটি জঙ্গি আস্তনায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিট "অপারেশন হিলসাইড" পরিচালনা করে।
অভিযানের আগে বাড়িটি শুক্রবার রাত ৮ টা থেকে ঘিরে রাখে পুলিশ ও কাউন্টার টেরিজম ইউনিট। অভিযানে কোন হতাহতের ঘটনা ছাড়াই ৪ জন পুরুষ জঙ্গি ও ৬ জন নারী জঙ্গীকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের সঙ্গীয় তিন শিশুকে হেফাজতে নেয়া হয়। অভিযানে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা প্রদান করে। উক্ত জঙ্গি আস্তানা থেকে ২.৫ কেজি বিস্ফোরক, ৫০টি ডেটোনেটর, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, কমান্ডো বুটসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি, ছুরি-রামদাসহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্র এবং নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্র জানায়, প্রায় ১ একর জমি দুবাই প্রবাসী রফিক মিয়ার কাছ থেকে তারা ক্রয় করে। এর পর ওই পাহাড়ি টিলার জমিতে কয়েকটি ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছিল। ওই টিলায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন বসবাস করতো। অভিযানের খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরিজম ইউনিটের সহকারী কমিশনার আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি ইউনিট সকাল থেকে অভিযান শুরু করেছে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, এরা জমি কিনে পাহাড়ি টিলায় ঘর তৈরি করে বসবাস করছে। তারা স্থানীয়দের জানান নদী ভাঙ্গনে তাদের বাড়ি বিলীন হওয়ায় এলাকায় জমি কিনে বসবাস করে আসছেন। তাদের প্রায় সময় সীমান্ত এলাকায় গহীন পাহাড়ে যাতায়াত ছিল।
দূর্গম পাহাডড়ে জঙ্গি আস্তানায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, সিটিটিসি নেতৃত্বে সিটিআই বিভাগের একটি টিম সোয়াট অপারেশন "অপারেশন হিলসাইড" পরিচালনা করে। অভিযানে শরীফুল ইসলাম (৪০), পিতা-ওমর আলী, গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা ও জেলা-সাতক্ষীরা। হাফিজ উল্লাহ (২৫), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-কানলা, থানা-ইটনা, জেলা-কিশোরগঞ্জ। খায়রুল ইসলাম (২২), পিতা-নজরুল ইসলাম, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ, রাফিউল ইসলাম (২২), পিতা-সাইফুল ইসলাম, গ্রাম-মাইজবাড়ী, থানা-কাজীপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ। মেঘনা (১৭), স্বামী-খায়রুল ইসলাম, পিতা-মানিক মিয়া, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। আবিদা (১২ মাস), পিতা-খায়রুল ইসলাম, গ্রাম-রসুলপুর, থানা-ফতুল্লা, জেলা-নারায়নগঞ্জ। শাপলা বেগম (২২), পিতা-মজনু মল্লিক, স্বামী-আ. ছত্তার, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা। জুবেদা (১৮ মাস), পিতা-আ. ছত্তার, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা। হুজাইফা (৬), পিতা-আ. ছত্তার, গ্রাম-শ্রীপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা। মাইশা ইসলাম (২০), পিতা: সাইদুল ইসলাম, স্বামী-সোহেল তানজীম রানা, গ্রাম-চাদপুর (পিতার বাড়ী), থানা ও জেলা-নাটোর। মোছা. সানজিদা খাতুন (১৮), পিতা-আব্দুল জলিল, গ্রাম-নিজবলাই, থানা-শরিয়াকান্দি, জেলা-বগুড়া। আমিনা বেগম(৪০), পিতা-জলমত খা, স্বামী-শফিকুল ইসলাম, গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরা। মোছা. হাবিবা বিনতে শফিকুল (২০), পিতা-শফিকুল, গ্রাম-দক্ষিণ নলতা, থানা-তালা, জেলা-সাতক্ষীরাকে আটক করা হয়।
এসআর