কুলাউড়ায় প্রবাদ আছে ‘হাওড় কইলে হাকালুকি আর সব কুয়া
কুলাউড়ায় প্রবাদ আছে ‘হাওড় কইলে হাকালুকি আর সব কুয়া, বেটা কইলে মান মনসুর আর সব পুয়া (ছেলে)।’ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ রূপ-মাধুর্যময় মৌলভীবাজার-২ আসন কুলাউড়া উপজেলা। এখানে রয়েছে উঁচু-নিচু অসংখ্য টিলা ও পাহাড়, রয়েছে সমতলভূমি। রয়েছে গাজীপুর চা বাগানে মৌলভীবাজার জেলার সবচেয়ে উঁচু গগন টিলা।
দেশের অন্যতম বৃহত্তম হাওড় হাকালুকি হাওড়, যা দেশীয় মৎস্যভাণ্ডারে ভরপুর। রয়েছে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতীর জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ-জীববৈচিত্র্য। আছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়ি টিলা, সারি সারি টিলায় মনোরম চা বাগান। দৃষ্টি নন্দন পৃথিমপাশা নবাব বাড়ির ইমাম বাড়া ও মসজিদ। লেখক, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিবিজড়িত ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাজারের গবিন্দপুরের সিআরপি। এ ছাড়া কুলাউড়া চা ও রাবার শিল্পের জন্যও বিখ্যাত। মৌলভীবাজার জেলার চা বাগানের সংখ্যা অনুপাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার পরেই কুলাউডার অবস্থান। কুলাউডায় রাবার, কমলা, আনারস, আম, কাঁঠাল এবং বাঁশ উৎপাদিত হয়। রয়েছে খাসিয়া, গারোসহ অনেক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী।
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচন কমিশন ২০০১ সালের আদমশুমারির প্রতিবেদন অনুযায়ী জনসংখ্যার বৃদ্ধি প্রতিফলিত করার জন্য এ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কমলগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন আদমপুর, আলীনগর, ইসলামপুর এবং শমশেরনগর এ আসনের সঙ্গে যোগ করে নির্বাচনী এলাকার সীমানা প্রসারিত করে। একটি পৌরসভা ও কুলাউড়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও কমলগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে এ সংসদীয় আসন। এ আসনে মোট ভোটার দুই লাখ ৪১ হাজার ১৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২২ হাজার ৪২২ জন। নারী ভোটার এক লাখ ১৮ হাজার ৭৩৯ জন।
১৯৮৬ সালের সাত মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে এএন ইউসুফ বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের তিন মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে নবাব আলী আব্বাছ খান নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম নির্বাচনে নবাব আলী আব্বাছ খান জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ১১ দিন মেয়াদি ষষ্ঠ সংসদে নির্বাচিত হন বিএনপির এমএম শাহীন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম নির্বাচনে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অষ্টম নির্বাচনে এমএম শাহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনে নবাব আলী আব্বাছ খান জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে আব্দুল মতিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ গণফোরাম থেকে নির্বাচিত হন।
মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে কুলাউড়া উপজেলার জনসাধারণ অনেকটা রাজনৈতিক সচেতন। এ আসনে গত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্বাচনে কেন্দ্রীয়ভাবে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় নির্বাচনী ফলও হয়েছে তার বিপরীত। কোনো দলই তাদের মূল প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয় নাই। এতে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে দলীয় কর্মী ও ভোটারা ভোট দিয়েছেন এবং ফলও উল্টা হয়েছে। তাই আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনে তৃণমূলের দাবি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলে নির্বাচনী ফল আগের মতো হবে বলে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আশঙ্কা।
এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাইবেন বলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে ডাকসুর সাবেক ভিপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে গণফোরাম মনোনীত ঐক্য ফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ রয়েছেন।
এ ছাড়াও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এম এম শাহীন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান, ডাক্তার অধ্যাপক রোকন উদ্দিন, ডাক্তার মিফতাউল ইসলাম সুইট, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুলাউড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, ২০০৮ সালের ১৪ দলীয় জোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীম ও আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য স্কোয়াড্রন লিডার (অব) সদরুল আহমেদ খানের নাম শোনা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, তিনবারের সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাছ খান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান শফকতুল ইসলাম শকু, জাতীয় পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শামীমের নাম শোনা যাচ্ছে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে।
বর্তমান এই আসনের গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডাকসুর সাবেক ভিপি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ড, স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণসহ ৫৭০ কোটি টাকার বেশ কিছু দৃশ্যমান উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। কুলাউড়ায় তার একটি ব্যক্তিগত ইমেজও রয়েছে। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন দিলে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করবেন।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য সাংবাদিক এম এম শাহীন জানান, বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছি। তবে যেহেতু গত নির্বাচন আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, তাই আগামী নির্বাচনে আমি তার সহানুভূতি পাব। আমার উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে- কুলাউড়া রেল জংশন, ৫০ শয্যার হাসপাতাল, প্রতিটি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স আধুনিকীকরণ, সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ, চাতলা, কন্টিনালা, কটারকোনা, জুড়ী, কামিনিগঞ্জ বাজার- এই পাঁচটি বড় বড় উন্নয়ন কাজ করি।
যা তৎসময়ে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকার মতো। তা ছাড়া হাকালুকি হাওড়ের ভেতর দিয়ে ভূকশিমইল হয়ে এ সড়কসহ প্রায় দুইশ’ কিলোমিটার সড়ক পাকা করি। বলতে গেলে বর্তমানে কুলাউড়াবাসী উন্নয়ন থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। কুলাউড়ায় একটি মহিলা ক্যাডেট কলেজ, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক পরিবর্তন করাসহ কুলাউড়ার ছাত্রছাত্রীদের বিশ^মানের নাগরিক তৈরি করার নেপথ্যে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখব।
সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশী সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল যেভাবে সিলেটে পরিচিত, সেভাবে কুলাউড়ায় পরিচিত নন। কুলাউড়ার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় থাকলেও সাধারণ মানুষের তিনি এখনো শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলতে পারেননি। তবে জনসমর্থন বাড়াতে তিনি ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছেন।
কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আব্দুল জব্বারের পুত্র প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ আবু জাফর রাজু। কুলাউড়ায় মরহুম আব্দুল জব্বারের আলাদা একটি ইমেজ রয়েছে। তা ছাড়া মরহুম আব্দুল জব্বারের আরেক পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা প্রথম নির্বাচনে কুলাউড়া উপজেলার প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবু জাফর রাজু মনোনয়ন পেলে পারিবারিক ইমেজ কাজে লাগাতে পারলে নির্বাচনে ভালো ফল আশা করা যায়।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম সফি আহমদ সলমান একজন সমাজ সেবক ও দক্ষ রাজনীতিবিদ। কুলাউড়া কলেজ জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান। মিষ্টভাষী সফি আহমদ সলামান ইউনিয়ন চেয়াম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর হতে আস্তে আস্তে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বেড়ে যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি রাস্তাঘাট, হাটবাজার, ব্রিজ-কালভার্ড নির্মাণ, টিউবওয়েল স্থাপন, খেলাধুলার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- করেন।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কুলাউড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক সাপ্তাহিক কুলাউড়ার সংলাপ পত্রিকার সম্পাদক, ভাটেরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইব। গত আড়াই বছর ধরে পৌসভার মেয়র হিসেবে কাজ করছি। অতীতে অনেক মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন, কিন্তু পৌরসভার প্রকৃত উন্নয়নে খুব একটা ভূমিকা রাখেননি। আমি নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
এদিকে নিজ সংসদীয় আসনে জনগণের কাছের সাদা মনের মানুষ ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনপ্রিয় জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাছ খান বলেন, বিএনপির সঙ্গে যদি জোট হয় এবং নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। কুলাউড়ার যানজট নিরসন, জলাবদ্ধতা নিরসন, হাকালুকি হাওড় বোর্ড গঠন ও উন্নয়ন, পর্যটন খাতে উন্নয়ন, ছোটখাটো অনেক গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন করা আমর প্রধান লক্ষ্য।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা বলেন, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় তত্ত্ব¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি যদি মনোনয়ন পাই, তাহলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমি নির্বাচিত হলে কুলাউড়ার স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষার উন্নয়ন, বন্যা সমস্যার সমাধান, বনজ শিল্প সমৃদ্ধকরণ, রাস্তাঘাট, খেলাধুলার উন্নয়ন, হাটবাজার উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেব। তা ছাড়া পর্যটন জেলা হিসেবে খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার পর্যটনের উন্নয়নে গুরুত্ব দেব।
জাতীয় পার্টি থেকে অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম শামীম বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেলে এবং তিনি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম কুলাউড়ায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হয়ে কাজ করবেন। তা ছাড়া কুলাউড়ার যানজট নিরসন, স্বাস্থ্য খাত ও শিক্ষার উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, জলাবদ্ধতা নিরসন, হাকালুকি হাওড় বোর্ড গঠন ও উন্নয়ন, পর্যটন খাতে উন্নয়ন, ছোটখাটো অনেক গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন করবেন।