ধর্ষণ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকায় অস্ত্রের মুখে দুই বছরের শিশু সন্তানকে জিম্মি করে শিশুটির মাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গণ্যমান্যদের কাছে বিচার দেয়। কিন্তু তারা কিছু না করায় গৃহবধূ বাদী হয়ে সোমবার (১৯ জুন) রাতে পাগলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উপজেলার পাগলা থানাধীন টাঙ্গাব ইউনিয়নের দুবাশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের শিকার গৃবধূর স্বামী কাজের সুবাদে নারায়নগঞ্জে থাকায় শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন।
ভুক্তভোগী গৃবধূর পরিবার জানায়, গত ১৬ জুন রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমের কারণে ওই গৃহবধূ বসত ঘরের দরজা খোলা রেখে শুয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রতিবেশি তানভীর (২৮), সুমন (৩০) ও জলিল (৩৫) ওই গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে গৃহবধূর দুই বছরের শিশু সন্তান আরাফাতকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অভিযুক্ত তানভীর গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ওই সময় অপর অভিযুক্ত সুমন ও জলিল তানভীরকে ধর্ষণে সহায়তা করে এবং ভিডিও ধারণ করে।
গৃহবধূ বলেন, ‘তানভীর, সুমন ও জলিল রাতে ঘরে প্রবেশ করেই দরজা বন্ধ করে দেয় এবং আমার দুই বছরের শিশু সন্তানকে জিম্মি করে। তখন জলিল আমাকে দিয়া ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই সময় আমি তার হাতে-পায়ে ধরলে সে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে তানভীর আমার শিশু সন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় অন্য দুজন ভিডিও ধারণ করে। পরে আমার পরিবারের লোকজনকে ঘটনাটি জানালে তারা বিষয়টি সালিশে মীমাংসার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। কিন্তু ঘটনার দুই দিনেও কোনো বিচার না পেয়ে সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।’
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহাম্মেদ বলেন, ‘গতকাল সোমাবর রাতে ভোক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থলে একজন অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এম হাসান