কোরবানী পশু
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কোরবানীর পশুর হাটের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নদী পথে পাইকাররা ষাঁড়গরুসহ নানা জাতের পশু বিক্রির জন্য আনতে শুরু করেছেন। পাইকাররা শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবতীসহ আশপাশের হাটগুলো তারা ষাঁড় গরুসহ কোরবানী পশু উঠাচ্ছেন।
সোমবার দুপুরে পাইকারদের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের ২নং ঢাকেশ্বরীর শীতলক্ষ্যা নদীর ঘাটে ট্রলার থেকে কোরবানী পশু নামাতে দেখা গেছে।
জানা যায়, এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৮টি অস্থায়ী কোরবানী পশুর হাট বসছে। সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল অঞ্চলে এ হাটগুলো বসছে। এদের অধিকাংশ হাটই শীতলক্ষ্যা নদীর তীর ও আশাপাশের এলাকায়। এ কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরুর পাইকাররা নদী পথে ট্রলার যোগে কোরবানীর হাটে ষাঁড় গরুসহ নানা জাতের পশু উঠাচ্ছেন। গরু পাইকার সেকার শিকদার বলেন, ফরিদপুরের সদরপুর থেকে ট্রলার যোগে ১৬টি কোরবানীর গরু নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে এসেছেন।
এ গরুগুলো বিক্রির জন্য ৮নং ওয়ার্ডে গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস এর খালি মাঠ উঠাচ্ছেন। গরুর পাইকার রাসেল মিয়া বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থেকে ৩০টি গরু নিয়ে ট্রলার যোগে তারা ৮নং ওয়ার্ডের অস্থায়ী গরুর হাটে উঠাচ্ছেন। একই জেলা থেকে পাইকার ময়নাল বেপারীর নেতৃত্বে ট্রলার যোগে ২৪টি গরু নিয়ে একই হাটে উঠাচ্ছেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের পাইকার আব্দুর রহমান বলেন, তিনি ২টি গরু নিয়ে কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলের হাটে এসেছেন।
তিনি বলেন, এবার গরুর দাম গতবারের চেয়ে একটু বেশি। গত বার যে গরু ১ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে এবার সেই গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হবে। এভাবেই শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ও আশপাশের অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানী গরু আসতে শুরু করেছে। গরুর ক্রেতারাও হাটগুলোতে গরু দেখা শুরু করেছেন।
জালকুড়ির বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, কোরবানী অস্থায়ী পশুর হাটে গরু দেখতে এসেছি। এখন গরুর দাম কেমন দেখে গেলাম। পরে এসে কিনে নিয়ে যাবো। এদিকে জেলার ফতুল্লা, বন্দর, সোনারগাঁও, আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে কোরবানী পশু উঠতে শুরু করেছে।
তবে স্থায়ী পশুর হাটে চলতি মাসের শুরু থেকেই কোরবানী পশু বিক্রি শুরু হয়েছে।
এমএস