ট্রেন।ফাইল ছবি
রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর ট্রেনের চারটি কোচ খুলে রাখায় ২৯২টি আসন কমেছে। ব্যাপক চাহিদার পরও কোচগুলো সংযুক্ত না হওয়ায় একমাস ধরে এ রুটে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
যাত্রীরা জানান, এই রুটে এসি কোচগুলো নেই। খুলে রাখায় চলাচলে এক মাস ধরে ভোগান্তি হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে দীর্ঘ পথ ভ্রমণ কষ্ট হচ্ছে তাদের। কয়েকদিন পরেই ঈদুল আজহা। এর মধ্যে কোচগুলো সংযুক্ত না হলে ঘরমুখী যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
রেলওয়ে সূত্র মতে, ২০০৬ সালে ব্রডগেজ লাইনের বেশ কিছু কোচ আমদানি করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কোচগুলোর মধ্যে পাঁচটি এসি স্লিপার ও পাঁচটি এসি চেয়ার/স্নিগ্ধা। এসবল কোচ চিলাহাটি-খুলনা রুটে চলাচলকারী রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস এবং রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে জুড়ে দেয়া হয়েছিল। পাওয়ার কারের লোডিং অবস্থা দুর্বলের অজুহাতে এ ৬টি ট্রেনে দুটির পরিবর্তে একটি করে তাপানুকূল কোচ যুক্ত করা হয়েছিল। পরে সেই কোচগুলোর তাপমাত্রা বাড়লে তা ঠাণ্ডা হয় না। এমন সমস্যা দেখা দেয়। এতে রেলওয়ের বিভাগীয় (পাকশি) প্রকৌশলীর নির্দেশনা মতে, গত ১৪ মে এসি কোচগুলো খুলে রাখা হয়।
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্তররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে এ অবস্থা হত না। রাজস্ব আয় ঠিক থাকত।
সরেজমিন দেখা গেছে, সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টার ওই কোচগুলোর টিকিটের জন্য যাত্রী ভিড়। তারা টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
আহসান হাবিব নামে এক যাত্রী জানান, ছোট দুই সন্তানের কারণে খুলনায় যাওয়ার জন্য এসি চেয়ারের দরকার ছিল। তবে কাউন্টারে জানতে পারি কোচগুলো খুলে রাখা হয়েছে। এর কারণে এসি চেয়ারের টিকেট বিক্রি বন্ধ।
সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের মাষ্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন বলেন, ত্রুটির কারণে ঊর্ধ্বত্ননদের নির্দেশে রূপসা ও সীমান্তের কোচগুলি খুলে রাখা হয়েছে। তবে সংযোগ না হওয়ায় আসন সংকট রয়েছে। তাই যাত্রীদের আসন দেওয়া হচ্ছে না।
রেলওয়ের পাকশি বিভাগের প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ ) রিফাত শাকিল বলেন, এসি ব্যবস্থাপনা সচল করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যন্ত্রাংশ সংকটের কারণে কোচগুলো স্টেশনে পড়ে আছে। যন্ত্রাংশ মিললেই সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামতের জন্য পাঠানো হবে।
এসআর