মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলা। ছবি জনকন্ঠ ।
বরিশালে হাত পাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর ভোটকেন্দ্রে
হামলার ঘটনা ঘটেছে। কেন্দ্র পরিদর্শনকালে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম
করেছেন বলে অভিযোগ করেন হাতপাখার মেয়র প্রার্থী।
সোমবার দুপুরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়
ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ ঘটনা ঘটে।
হাতপাখার প্রার্থী অভিযোগ করে বলেন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি
নৌকার সমর্থকরা ভোট কক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলছেন- নৌকায় ভোট দিলে দাও না হলে চলে যাও। আমি
প্রিজাইডিং অফিসারকে এসব বিষয় বলছিলাম। তখন নৌকার কর্মীরা এসে আমাকে ও আমার সাথে যারা ছিলেন,
তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে। আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, যতো হামলা হোক ভোটের শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনে আছি।
নির্বাচনের পর আন্দোলনের কথা বলে জানান, এই সরকারকে পতন না করে আমি ঘরে ফিরবো না। আমিতো কোনো অন্যায় করিনি। যারা হামলা করেছে তাদের বাবার বয়সী আমি। আমাকে মারধর করার কি কারণ? আমার দাঁড়ি পাকা,আমি একজন আলেম মানুষ। এতো বড় পিশাচ হতে পারে মানুষ? এসব কি হচ্ছে? এটা কেমন নির্বাচন?
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের গাড়ি ভাঙচুর ও তার সাথে থাকা লোকজনের ওপর নৌকার কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া আটটি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন হাতপাখা মার্কার প্রার্থী ফয়জুল করিম। সোমবার বেলা বারোটার দিকে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
হাতপাখা মার্কার প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মিডিয়া সেলের সদস্য কেএম শরিয়তুল্লাহ বলেন, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাদের চৌধুরী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতপাখার কর্মীদের মারধরের অভিযোগের খবর পেয়ে প্রার্থী মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম সেখানে উপস্থিত হলে তার গাড়ি ভাঙচুর করে সাথে থাকা লোকজনের ওপর হামলা চালায় নৌকার কর্মীরা। এছাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডের শেরেবাংলা দিবা-নৈশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পোলিং এজেন্টের কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ওজোপাডিকা-২ (ওয়াপদা অফিস) আমানতগঞ্জে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ কর্মীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আসমত মাস্টার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাউনিয়া সেকশন রোড কেন্দ্রের বাহিরে হাতপাখার ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছে এবং কেন্দ্রের ভেতরে হাতপাখায় ভোট দিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণাফুলিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারী ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে নৌকায় জোরপূর্বক ভোট দিয়ে দিচ্ছে। এ কাজ করছে স্থানীয় কাউন্সিলের মেয়ে। এছাড়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ইভিএম নষ্ট। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কেন্দ্রে হাতপাখার নারী কর্মীদের সেন্টারে যেতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। শরিয়তুল্লাহ আরও বলেন, এসব বিষয়ে প্রিসাইডিং ও পুলিশকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হযনি। এমন পরিস্থিতিতে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে তা পরবর্তীতে জানানো হবে।
টিএস