ম্যাপে পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ধর্ষণের লোকলজ্জা এড়াতে মারুফা আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মারুফা আক্তার উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের কোটখালী গ্রামের মৃত আবু সালেহর মেয়ে এবং সে এবার বাঁশবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
এ ঘটনায় মারুফার মা মাসুমা বেগম (৫০) গলাচিপা থানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. কামাল হোসেন ওরফে নুহুকে (৪৩) একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি কামাল হোসেন দুই সন্তানের জনক এবং স্থানীয় কোটখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
পারিবারিক সূত্র এবং মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি কামাল হোসেন ওরফে নুহু বিবাহিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে মারুফা আক্তারকে (১৬) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে। বিষয়টি নিরসনে পারিবারিক ভাবে চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। উল্টো মারুফাকে হুমকি দেয়া হতো। এরই জের ধরে মারুফা আক্তার রবিবার (৪ জুন ) তার পরিবারকে জানায় যে, আসামি কামাল হোসেন ওরফে নুহু দুইদিন পূর্বে ঘরের পাশে বাগানে একা পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে মারুফা আক্তার লোকলজ্জা এড়াতে ওইদিনই সন্ধ্যার পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক পরিবারের নজরে এলে পরিবারের লোকজন মারুফাকে উদ্ধার করে প্রথমে গলাচিপা হাসপাতালে ও পরে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বরিশাল শেরইবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মারুফা আক্তার মারা যায়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ শোনিত কুমার গায়েন জানান, মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার একমাত্র আসামি কামাল হোসেন পলাতক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সিরাজ মোল্লা জানান, লাশের পায়ের নিচে কালো দাগ দেখা গেছে। ধর্ষণের বিষয়টি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসবে।
এমএস