ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবী আটক ৩

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাগুরা

প্রকাশিত: ২০:৫৬, ২৯ মে ২০২৩

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবী আটক ৩

আটক

মাগুরায় নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অপচেষ্টার অভিযোগে মাগুরা শহরতলীর  নিজনান্দুয়ালী এলাকা থেকে দুই নারী সহযোগীসহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। 

সোমবার দুপুরে মাগুরা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ। 

প্রেস ব্রিফিংয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ বলেন, ডিবি পুলিশের একটি টিম শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মুল আসামী শাহিনুর শেখ (৪২) তার অপর দুই সহযোগী জুলেখা (৩৫) ও নদীকে (৩৫) আটক করে। 

রবিবার বিকালে মাগুরা সদরের ডেফুলিয়া গ্রামের শামছু বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি তার এলাকার মিলন মিয়া নামে একজনকে নিয়ে শহরের নতুন বাজার হাটে সরিষা বিক্রি করতে আসে। ওই হাট থেকে শামছু বিশ্বাসকে কৌশলে অপহরন ক’রে নিজনান্দুয়ালীর জুলেখার বাড়িতে আটকে রেখে জোরপুর্বক মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ধারন করে শাহীনুর শেখ, জুলেখা ও নদী। 

পরে শামছু বিশ্বাসের মোবাইল ফোন থেকে তার সঙ্গে হাটে আসা মিলন মিয়ার কাছে ফোন করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপনের কথা জানায় অভিযুক্তরা। নইলে ধারনকৃত ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকী দেয়। 

রবিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে মিলন মিয়া মাগুরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়। এসময় পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজার নির্দেশে ডিবি পুলিশের একটি দল রবিবার রাতেই নিজনান্দুয়ালীতে এ অভিযান চালায়।  

অভিযুক্তরা প্রতারনার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আসামী শাহীন ওই নারীদের দিয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে অপরিচিত বিভিন্ন মানুষের সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলে। 

এক পর্যায়ে দেখা করার কথা বলে নতুন বাজার এলাকায় ডেকে এনে নিজনান্দুয়ালী এলাকার জুলেখার বাড়িতে আটকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও আপত্তিকর ছবি তুলে পরে অর্থ দাবি করে আসছিল। 

এ অপকর্মে জুলেখার অন্য সহযোগী হচ্ছে নদী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান,  আসামী শাহিনের মুঠোফোন থেকে কয়েকজনের জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারনের প্রমান মিলেছে। এ বিষয়ে আরো তদন্ত চলমান রয়েছে। কতজন এ ধরনের প্রতরনার শিকার হয়ে প্রতারকদের অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে পুলিশ। পাশপাশি জেলায় এ ধরনের কতটি চক্র আছে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।              
                                              

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×