জামালপুর
জামালপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে করে ৪ জন স্কুল ছাত্রকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় পৌর আওয়ামী কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন ও তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে শহরের পৌর এলাকার বগাবাইদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে জামালপুর শহরের বগাবাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র রায়হান তার সহপাঠীদের নিয়ে পাশের এলাকা মনিরাজপুর খেজুরতলা মাঠে ফুটবল খেলতে যাচ্ছিল। এ সময় পথে জামালপুর পৌর কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুকনের ছেলে বুলবুল তার ৫/৬ জন বন্ধুদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। আশপাশের লোকজন এসে তাদের সরিয়ে দেন। এরপর রায়হান তার বন্ধুদের নিয়ে স্থানীয় আজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল থেলতে যায়। তারা ফুটবল খেলার সময় শেখ রুকনের ভাই শেখ মোতালেবের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সহযোগী সেখানে গিয়ে স্কুলছাত্র রায়হান, যোবায়ের, রাহাত ও লিমনকে অটোরিকশায় তুলে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের আজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।
খবর পেয়ে নির্যাতিত স্কুলছাত্রদের অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা ও মারধর করে। পরে ৯৯৯-এ ফোন দিলে জামালপুর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চার ছাত্রকে উদ্ধার করে। এ সময় নির্যাতনের অভিযোগে পৌর কৃষকলীগের সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুকন এবং তার সহোদর শেখ মোতালেবকে আটক করেছে পুলিশ।
জামালপুর জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ‘শিশুদের ওপর যে অমানবিক নির্যাতন, গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম প্রহার করা, এটা আমাদের শিশু আইন এবং শিশু রক্ষা নীতিমালা এবং জাতি সংঘের শিশু অধিকার সনদের পরিপন্থী। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টামূলক বিচার চাই।’
জামালপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন, আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোনের মাধ্যমে বগাবাইদ এলাকায় চারজন কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতনের খবর পাই। সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়ে নির্যাতিতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিতদের পক্ষে অভিযোগ প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএইচ