ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২০ মে ২০২৩

পটুয়াখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আহত অর্ধশত

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। 

পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত জনসমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। 

শনিবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে শহরের কলেজ রোড থেকে সিঙ্গারা পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ দিকে উভয় পক্ষেই তাদের নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেছেন। 

জানা যায়, শনিবার সকাল ৯ টার কিছু পরে শহরের বনানী এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পূর্ব নির্ধারিত জনসভা শুরু হয়। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার রাতে তিনিসহ কেন্দ্রীয় বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা পটুয়াখালী এসে উপস্থিত হন। কিন্তু সভাস্থলে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হওয়ার আগেই সভা স্থলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ থেকেই আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। 

পটুয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শরীফ মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আজ কেন্দ্রীয় ঘোষিত জনসমাবেশ ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে মূলদল এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে আমাদের কর্মসূচী চলছিল। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের অফিস ভাঙ্চুর করা হয়েছে।’ 

এদিকে, দুপুর ১টায় শহরের হিলটন হোটেলে তাৎক্ষণিক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। 

পটুয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল  থেকেই আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন ছিল। বিএনপি জনসমাবেশ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। বিএনপি সমাবেশ শুরুও করেছিল। কিন্তু বিএনপির কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মী উত্তেজনা সৃষ্টি করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তিনটি টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

সংঘর্ষ এলাকা পরিদর্শন করে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে কিছু বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দুই একটি ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। আমাদের জানামতে সে রকম কোনো ইনজুরির খবর নেই।’ 

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, আজ জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ছিল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেখানে আশার পথে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাদের সাত থেকে আটজন আহত হয়েছেন।

এমএইচ

সম্পর্কিত বিষয়:

×