সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে অস্কার বিজয়ী বিশ্বনন্দিত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে বুধবার (১০ মে) থেকে পাঁচদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে।
জনশ্রুতি আছে, আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায়চৌধুরী কালভৈরব পূজা উপলক্ষে এই মেলার প্রচলন শুরু করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় সেই থেকে প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বুধবার এ মেলা বসে। বর্তমানে কালভৈরব পূজা না হলেও বন্ধ হয়নি এ মেলা।
সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়িটি এলাকায় ‘রায়’ বাড়ি নামেই পরিচিত। রায় বাড়ির সামনের খোলার মাঠ ও পুকুরের আশেপাশের বিশাল এলাকাজুড়ে বসে এ মেলা।
জানা যায়, এ রায় বাড়িতেই ১৮৬০ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী। ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতা বিশিষ্ট ছড়াকার সুকুমার রায়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির আগেই উপেন্দ্র কিশোর রায়চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। কারুকার্যখচিত ভগ্নপ্রায় প্রাচীন দালান পরিবেষ্টিত বিশলায়তনের রায় বাড়িটি বর্তমানে সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্বাবধানে রয়েছে।
আয়োজকরা জানান, মেলায় রয়েছে রকমারি পণ্যের কয়েকশ স্টল। এসব স্টলে রয়েছে কাঠের আসবাবপত্র, গৃহস্থলি নানা সামগ্রী, খেলনা, মিস্টিজাতীয় দ্রব্য ও নানান ধরণের প্রসাধনীর বাহার। এছাড়া রয়েছে শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য নাগরদোলাসহ হরেকরকম আয়োজন।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, বাংলা সাহিত্যের চারণ ভূমি রায় বাড়ীকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর গ্রাম-বাংলার লোকজ সংস্কৃতি বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে। মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা অন্যান্য বছরের ন্যায়ই থাকবে এবং বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে রায়বাড়িটি সংস্কারে সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কাজ করছে। সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে দর্শনার্থীদের কাছে এ মেলা আকর্ষণ আরো বাড়বে।
এমএস